খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় ১২ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরিও ধর্মঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পণ্যবাহী সকল পরিবহনের চাকা বন্ধ রয়েছে।এতে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহনও বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার সকাল থেকে পূর্ব নির্ধারিত এ ধর্মঘট শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (২১ জেলা) পণ্য পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
ধর্মঘটে খুলনা বিভাগের সব চেয়ে বড় সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনালসহ এসব জেলার বিভিন্নস্থানে আটকা পড়েছে পণ্যবাহী হাজারও ট্রাক।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বক্স দুদু এ বলেন, গত রবিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম থাকলেও তাদের দাবি মেনে নেয়ার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে তারা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে সকল পণ্যবাহী সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকলরিও ধর্মঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানান, পরিবহনে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই না করতে প্রেস নোট জারি, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন, ওয়েব্রিজে জরিমানা বাতিল, ১২ হাজার টাকা স্কেল জরিমানা প্রত্যাহার, ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি ও অনিয়ম বন্ধ, কাগজপত্র পরীক্ষার নামে হয়রানি বন্ধ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ, ব্রিজের টোল কমানো, অপ্রয়োজনীয় স্পিড ব্রেকার অপসারণ, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, জ্বালানি তেলের দাম কমানো, ভারতের পেট্রোপোল বন্দরে চালকদের নির্যাতন বন্ধ ও গত বছর সীতাকুন্ডু থানায় ৪শ’ জন ট্রাক চালকের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তারা এ ধর্মঘট পালন করছেন। সংগঠনের আহবায়ক আব্দুল গফফার বিশ্বাস বলেন, সোমবার সকাল থেকে ২১ জেলায় ধর্মঘট শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত। আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সেদিকে তারা নজর দেয়নি। যে কারণে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে
Share!