এক অর্থে পুরো বিশ্বেরই কাপ। এবারই যেমন বাছাই পর্বে অংশ নিচ্ছে ২১০টি দেশ। বাছাই পর্বকেও বিশ্বকাপের অংশ ধরা হয় বলে চূড়ান্ত পর্বকে ফিফা বলে ‘ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালস’। তবে আসল যে আসর, সেটাও এখন দলের। আজ ফিফার সভায় বিশ্বকাপের আকার বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে।২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ১৯৯৮ সালের আসর থেকে ৩২ দলের বিশ্বকাপ হয়ে আসছে। পরের দুটি আসরও হবে ৩২ দলের। বর্তমান ফরম্যাটে ফিফার ছয়টি কনফেডারেশন থেকে ৩১টি দলকে বাছাই পর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে আসতে হয়। স্বাগতিকেরা সরাসরি খেলার সুযোগ পায়। উয়েফা (ইউরোপ) থেকে ১৩টি, এএফসি (এশিয়া) থেকে ৪ অথবা ৫টি, কাফ (আফ্রিকা) থেকে ৫টি, কনক্যাকাফ (উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল) থেকে ৩ অথবা চারটি, ওএফসি (ওশেনিয়া) থেকে ০ অথবা ১টি এবং কনমেবল (দক্ষিণ আমেরিকা) থেকে ৪ অথবা ৫টি দল বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়। উয়েফা ও কাফ ছাড়া বাকি চারটি কনফেডারেশনের শেষ দলটি প্লে অফে নির্ধারিত হয়।নতুন ফরম্যাটে কোন অঞ্চল থেকে কতটি দল হবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে নতুন ফরম্যাটের খেলার ধরন সম্পর্কে বিশ্বমাধ্যমে বেশ কিছু তথ্য জানা গেছে।বর্তমান ফরম্যাটে চার দলকে নিয়ে একটি করে গ্রুপ পর্ব। মোট আটটি গ্রুপে চলে খেলা। এবার হবে তিন দলের একটি করে গ্রুপ। গ্রুপের সংখ্যা হবে ১৬টি। গ্রুপ পর্বে দুটি করে ম্যাচ খেলবে প্রত্যেক দল। গ্রুপ সেরা দুটি দল উঠবে নকআউট পর্বে। ৩২টি দলকে নিয়ে হবে প্রথম নকআউট পর্ব। এখন যেটি হয় ১৬ দলের।
ফিফার বর্তমান সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো আমলে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত এটিই। ইনফান্তিনোর নির্বাচনী ইশতেহারেরও সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছিল এই বিষয়টি। অবশ্য দুর্নীতির দায় নিয়ে সরে যাওয়া সাবেক ফিফা প্রধান সেপ ব্ল্যাটার ও উয়েফার সাবেক সভাপতি মিশেল প্লাতিনিও বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর কথা বলেছিলেন।যদিও বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বেশ কিছুদিন ধরেই চলে আসছিল আলোচনা
ফুটবল বিশ্বকাপে ৩২ দল থেকে বেড়ে হয়ে যাচ্ছে ৪৮
Share!