২০১৯ বিশ্বকাপ এখনো অনেক দেরি। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে অংশ নেওয়ার হিসাব চলছে এখনই। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজেও সেই হিসাব-নিকাশ থাকছে। বাংলাদেশের সামনে যেমন থাকছে রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আবার নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের বর্তমান স্থানটা না হারানোর।আইসিসির সর্বশেষ ওয়ানডে র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, ১০৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ড আছে চারে আর ৯৫ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ সাতে। কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ধবলধোলাই হওয়ায় এক ধাপ অবনমন হয়েছে কিউইদের। গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও বাংলাদেশের কোনো অবনমন হয়নি। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল সরাসরি খেলবে ২০১৯ বিশ্বকাপ। শীর্ষ আটে জায়গা নিশ্চিত করতে প্রতিটি সিরিজই তাই সব দলের জন্যই এখন গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের সামনে র্যাঙ্কিংয়ের হিসাব-নিকাশটা এমন—* যদি নিউজিল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে জিতে যায়, কিউইদের হবে ১১১ পয়েন্ট। বাংলাদেশের চার পয়েন্ট কমে হবে ৯১। অবশ্য তাতে র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হবে না মাশরাফিদের। আটে থাকা পাকিস্তানের পয়েন্ট যে ৮৯!* যদি নিউজিল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী হয়, তাদের পয়েন্ট আগেরটাই থাকবে—১০৯। বাংলাদেশের পয়েন্টও অপরিবর্তিত থাকবে—৯৫।* যদি বাংলাদেশ কিউইদের ধবলধোলাই করে, নিউজিল্যান্ডের চার পয়েন্ট কমে হবে ১০৫। আর নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো রেটিং পয়েন্টে ‘সেঞ্চুরি’ করবে!* যদি বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে, নিউজিল্যান্ডের ২ পয়েন্ট কমে হবে ১০৭ আর বাংলাদেশের হবে ৯৭ পয়েন্ট।সিরিজ জয়-পরাজয় পরে, রেটিং পয়েন্ট অপরিবর্তিত রাখতে শুধু ধবলধোলাই এড়াতে হবে মাশরাফিদের। অবশ্য কোনো সংস্করণেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার তারা ব্যর্থতার চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে?
Share!