আর এক সপ্তাহ বাদেই মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদনের শুনানি। এই শুনানি শেষ হলেই চূড়ান্ত রায় কার্যকর হবে। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর মামলাটিও রয়েছে কার্যতালিকায়। আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে এমন আরো আটটি মামলা।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ফাসির দন্ড পান গেলো জুন এবং জুলাই মাসে। এরপর আপিল বিভাগ পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করে ৩০শে সেপ্টেম্বর। দন্ড প্রাপ্ত দুই অপরাধি রিভিউর আবেদন করলে আগামী ১৭ নভেম্বর শুনানীর দিন ধার্য হয়। সে হিসেবে শুনানী শেষে নির্ধারিত হবে মুজাহিদ ও সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়।
অবশ্য প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ হয়নি আরেক মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এ পর্যন্ত ২১ মামলার রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে পাঁচটির। বিচারাধীন রয়েছে আরো আটটি মামলা। এছাড়া, জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাদের আপিল মামলা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।
আপিল বিভাগে রয়েছে জামায়াতের চার শীর্ষ নেতার মামলা। তারা হলেন আমির মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির মুহাম্মদ আবদুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাদের ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আপিল নিষ্পত্তির তালিকায় রয়েছে জাতীয় পার্টির সৈয়দ মো. কায়সারের মামলাটিও। এছাড়া, দলটির সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক আবদুল জব্বারকে দেয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার ও মাহিদুর রহমানের মামলা।