তীরে এসে তরি ডোবার ব্যাপারটি বোধ হয় এমনই। আনন্দ করার খুব কাছে এসেও আফসোস। ব্রিসবেন টেস্টেও ঠিক একই স্বাদ গ্রহণ করল পাকিস্তান। যে মাঠে চতুর্থ ইনিংস রান তাড়া করে ৩৭০ রানের বেশি কেউ করতে পারেনি, সেই মাঠে ৪৫০ রান করেও হার সঙ্গী পাকিস্তানিদের। আসাদ শফিকের ১৩৭ রানের অনবদ্য ইনিংসের পরেও লক্ষ্য থেকে ৩৯ রান দূরেই থেমে যেতে হয়েছে তাদের।আসাদ শফিকের ১৩৭ রানের সঙ্গে আজহার আলীর ৭১ আর ইউনিস খানে ৬৫ রান দারুণ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘বোলার’ মোহাম্মদ আমিরের ৪৮ রানের দারুণ ইনিংসটিও। তবে বিশেষ করে বলতে হয় শফিকের কথা। ৩৩৪ মিনিট ব্যাট করেছেন, এই সময়ে বল খেলেছেন ২০৭টি। ১৩ চার আর একটি ছয়ে সাজানো এই ইনিংস দলকে শেষ পর্যন্ত কীভাবে জেতাতে পারল না, সেই আফসোস পাকিস্তানিদের থাকবেই। তবে মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত গতির বাউন্সারটি ঠিকমতো খেলতে না পারার খেসারতই শফিক দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচে পরিণত হয়ে। শফিক আউট হয়ে যাওয়ার পর প্রতিরোধটা ভেঙে পড়ে, স্টিভেন স্মিথের থ্রোতে ইয়াসির শাহ রানআউট হয়ে গেলে ইতি ঘটে দারুণ এই টেস্ট ম্যাচের।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও জ্যাকসন বার্ড।প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪২৯ রানের জবাবে মাত্র ১৪২ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ২০২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।সফরকারীদের ৪৯০ রানের লক্ষ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যখন বড় জয়ের স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখনই ব্যাট কথা বলে উঠল পাকিস্তানিদের। জয়ের খুব কাছে গিয়েও জয়ের স্বাদটা নেওয়া হলো না তাদের
ব্রিসবেন টেস্টেও ঠিক একই স্বাদ গ্রহণ করল পাকিস্তান
Share!