রোহিঙ্গা-সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের জরুরি বৈঠক ডেকেছে মিয়ানমার। ১৯ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুনে এ বৈঠক হতে পারে বলে গতকাল একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানে এই সংকট সৃষ্টি হয়। সেনা অভিযানের কারণে গত দুই মাসে ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে—ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ সামরিক নির্যাতন আঞ্চলিক উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সেনাদের গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা এই অঞ্চলের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশটি প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে।গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চির প্রতি প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কুয়ালালামপুরে হাজারো মুসলিম বিক্ষোভ সমাবেশ করে। নাজিব রাজাক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সু চি এই গণহত্যার অনুমোদন দিয়েছেন।
মিয়ানমার এই অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছে। এমনকি সে দেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দেশটির কর্মীদের মালয়েশিয়া যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।মিয়ানমারে এই রক্তপাত নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী সু চিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। গত বছর তাঁর দল জান্তার শাসনামলের পর প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে
রোহিঙ্গা-সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছে মিয়ানমার
Share!