আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে ইদানীং কিছু ক্রিকেটারকে খারাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। মাঠের মধ্যেই অনেককে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বচসায়। সেই বচসা অনেক সময় চলে যায় হাতাহাতির পর্যায়ে। একে অন্যের দিকে হুমকির ভঙ্গিতে ব্যাট তোলার দৃশ্যও খুব বিরল নয় ‘ভদ্রলোকের খেলা’ হিসেবে পরিচিত ক্রিকেটে। এমসিসির ক্রিকেট কমিটি ক্রিকেট মাঠে এমন পরিস্থিতির একটা গুণগত পরিবর্তন আনতে চায়। সে লক্ষ্যে ফুটবলের রেফারিদের মতোই ক্রিকেটের আম্পায়ারদের ‘লাল কার্ড’ দেখানোর ক্ষমতা দেওয়ার ভাবনা-চিন্তা চলছে।পুরো ব্যাপারটি এখনো আলাপ-আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে মুম্বাইয়ে এমসিসি ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে এটি নিয়ে জোর আলোচনাই হয়েছে। মাঠে গুরুতর শৃঙ্খলাবহির্ভূত কাজ করলে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা এই মুহূর্তে আম্পায়ারদের নেই। এমসিসি এমন কিছু ভাবছে, যাতে অসদাচরণের সঙ্গে সঙ্গেই কোনো খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে বের করে দেওয়া যায়।ক্রিকেটের কোনো আইন তৈরির ক্ষমতা এমসিসির ক্রিকেট কমিটির নেই। তবে তারা যেকোনো বিষয়ে সুপারিশ করতে পারে। পরে এমসিসির মূল কমিটিতে সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হলেই কেবল তা আইনে পরিণত হয়। আপাতত ফুটবল, হকির মতো ক্রিকেটের আম্পায়ারদের লালা কার্ডের দেখানোর ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এমসিসির মূল কমিটি অনুমোদন করলে বছরখানেক পর হয়তো এটি আইনে পরিণত হবে।ক্রিকেটে অনেক সময় মাঠে খেলোয়াড়েরা অসদাচরণ করে থাকেন। আম্পায়ারকে গালি-গালাজ তো আছেই ইদানীং খেলোয়াড়দের মধ্যেও হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটছে। মুম্বাইয়ে এমসিসির ক্রিকেট কমিটি বৈঠকে বলেছে, ‘ক্রিকেটে খারাপ ব্যবহারের কোনো তাৎক্ষণিক শাস্তি নেই। আম্পায়ারদের সে ধরনের কোনো অধিকারও দেওয়া হয়নি। আইনে এমন কিছু পরিবর্তন আনা দরকার ক্রিকেটারদের মাঠে গুরুতর শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে
ফুটবলের রেফারিদের মতোই ক্রিকেটের আম্পায়ারদের ‘লাল কার্ড’ দেখানোর ক্ষমতা
Share!