Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

গান ও ভিডিওযুক্ত স্মার্টফোন কেড়ে নিচ্ছে তালেবানরা

গান ও ভিডিওযুক্ত স্মার্টফোন কেড়ে নিচ্ছে তালেবানরা। স্মার্টফোনে গান বা ভিডিও থাকলেআফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের কোয়ারাবাগ জেলার বাসিন্দাদের শাস্তি দিচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা।আলম খান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দার বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তালেবানদের স্মার্টফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে।আলম খান অভিযোগ করেন, যেসব মোবাইলে গান আছে, সেগুলো তালেবানরা মানুষের কাছ থেকে কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিটি মানুষকে থামিয়ে তার ফোন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।রহমতউল্লাহ খান নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, কোয়ারাবাগের অধিকাংশ মানুষ খুব সাধারণ মোবাইল ফোন চালায়। এতে ভিডিও দেখা যায় না। স্মার্টফোন ব্যবহার করে এলাকার মানুষ বিদেশে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তালেবানরা অনুমতি দেয় না।এ রকম আরও অনেক অধিবাসী একই মন্তব্য করেন।
দেহ ইয়াক জেলার সুলিমানখেল এলাকার বাসিন্দা সাইদ আলম ‘পাজওয়াক ডটকম’ নামে এক আফগান অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বড় স্ক্রিনের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তালেবান। তারা মনে করে, এটা তরুণদের বিপথগামী করবে।হাজি নুরুল্লাহ নামের এক স্থানীয় উপজাতি নেতার ভাষ্য, ‘বর্তমান দুনিয়ার প্রয়োজনীয় জিনিস মোবাইল। এর ব্যবহার বন্ধ করা কারও উচিত নয়। আমরা মতে, এটা মানুষকে অপমান।’ফাহিম আমারখেল নামে গজনি পুলিশের এক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের তথ্য পেয়েছি। তালেবান মানুষের জন্য কখনো ভালো কিছু করেনি।’এ ধরনের আচরণের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান তিনি। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও এ সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।জাবিউল্লাহ মুজাহিদ নামে তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় তালেবান নেতারা এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে মোবাইল ফোনে পর্নো দেখার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।গজনি শহরটি ১১ বছর ধরে তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে। তালেবান শাসনামলে সেখানে গান পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল। ১৯৯৮ সালে তালেবান-নিয়ন্ত্রিত পত্রিকায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।তালেবান শাসনামলে কারও কাছে যদি গান শোনার যন্ত্র বা অডিও ক্যাসেট পাওয়া যেত, তবে তাকে কারাভোগ করতে হতো। ওই সময় গান গাওয়া ও বাদ্য বাজানোর অভিযোগে অনেক শিল্পীকে মারধরের শিকার হতে হয়েছে এবং কারাগারে যেতে হয়েছে।২০০১ সালে তালেবান শাসনের অবসান হলে গানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। তবে এখনো যে অঞ্চল তালেবানদের নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাবে আছে, সেখানে একই নিয়ম রয়ে গেছে

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top