পথ হারালে বুঝি এমনই হয়! নইলে যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস আগের আট ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল, তাদের সামনেও কেন অসহায় আত্মসমর্পণ করবে বরিশাল বুলস? প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই জেতা মুশফিকুর রহিমের দল কাল হারল টানা ষষ্ঠ ম্যাচ। তাদের ৮ উইকেটে হারিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা নবম ম্যাচে এসে পেয়েছে দ্বিতীয় জয়ের দেখা।বিপিএলে কালই প্রথম নেমেছেন পেসার শাহাদাত হোসেন। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছেন বরিশালের ওপেনার দিলশান মুনাবীরার উইকেট। সেই ধাক্কা একটু সামলে উঠলেও ৮৫ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে শাহরিয়ার নাফীস আউট হয়ে গেলে পুরোই এলোমেলো হয়ে যায় বরিশালের ইনিংস। ৮৫ থেকে ৯২—৭ রানে পড়েছে ৪ উইকেট।
নাবিল সামাদের কৃতিত্বটাই বেশি এখানে। ১৪তম ওভারে চার বলের মধ্যে ফিরিয়েছেন নাদিফ চৌধুরী ও মুশফিকুর রহিমকে। ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচও এই বাঁহাতি স্পিনারই। শেষ দিকে এনামুল ও আবু হায়দারের ব্যাটে ঝড় না উঠলে বরিশালের সংগ্রহটা হতে পারত আরও কম। নবম উইকেটে আট বলের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজন যোগ করেছেন ২৫ রান। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে দুজনের দুই ছক্কায় শেষ ওভার থেকেই এসেছে ১৯।এক ওভার বাকি থাকতেই নিশ্চিত হয়ে গেছে কুমিল্লার জয়। ৯৩ রানের ওপেনিং জুটিতে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও আহমেদ শেহজাদ। ৪৬ রান করে মালানকে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে কামরুলের ক্যাচ হয়েছেন ইমরুল। শেহজাদ অবশ্য ফিফটি করেই ফিরেছেন। দলও তখন পৌঁছে গেছে জয়ের কাছাকাছি।বরিশালের একের পর এক ম্যাচ হারার একটা কারণ বের হয়ে এসেছে মুশফিকের ময়নাতদন্তে। ম্যাচ শেষে বরিশাল অধিনায়ক আফসোস করেই বলছিলেন, ‘আমাদের এমন কোনো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান নেই যে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেবে। এ জন্য দলের দু-তিনজন খেলোয়াড়কে অন্তত ভালো খেলতে হবে। কিন্তু আমাদের কেউ একজন ভালো খেললে তাকে সমর্থন করার মতো কেউ থাকছে না।’তবে এই দল নিয়ে টানা ছয় ম্যাচ হারাটাকে বিস্ময়কর কিছু মনে হচ্ছে না মুশফিকের কাছে। উল্টো বললেন, ‘এই দল নিয়ে যে আমরা তিনটি ম্যাচ জিতেছি, সেটাকেই আমার কাছে মনে হয় অলৌকিক কিছু।’সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল বুলস: ২০ ওভারে ১৪২/৮ (মুনাবীরা ৭, ম্যালান ৯, মেন্ডিস ২৮, মুশফিক ২৯, শাহরিয়ার ১১, নাদিফ ০, এনামুল ২০*, রুম্মন ৪, তাইজুল ১৪, হায়দার ১৬*; মাশরাফি ০/১৭, শাহাদাত ১/২২, নাজমুল ০/১৭, রশিদ ২/২১, সাইফউদ্দিন ১/৪৭, নাবিল ৩/১৭)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস: ১৯ ওভারে ১৪৫/২ (ইমরুল ৪৬, শেহজাদ ৬১, স্যামুয়েলস ২৭*, খালিদ ৭*; তাইজুল ০/২৭, রুম্মন ১/৩৮, হায়দার ০/৩০, কামরুল ০/১১, মেন্ডিস ০/১১, এনামুল ০/১১, মুনাবীরা ০/৬, ম্যালান ১/৮)।
ফল: কুমিল্লা ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাবিল সামাদ।
পথ হারালে বুঝি এমনই হয় – মুশফিকুর
Share!