স্টাফ রিপোর্টার:হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দু’লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী গণতন্ত্রের মানস কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ^ দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় বসবাস করতে পারছি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চলছে। ইতিমধ্যেই নিজামী, মুজাহিদ, সাকা চৌধুরী, মীর কাশেমের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। সাঈদীর যাবজ্জীবন সাজা চলছে। অনান্য মানবতা বিরোধীদেরও বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে।
কিন্তু মানবাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ছারছিনা পীর মাওলানা মুহিববুল্লাহকে আজও বিচারের আওতায় আনা হয়নি। পিরোজপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ে রাজাকার-আলবদরদের তালিকায় মাওলানা মুহিববুল্লাহর নাম ৪৭ নম্বরে দেয়া রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা এবং টিভি চ্যানেলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মাওলানা মহিববুল্লাহ’র মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, বদ্ধভূমি, নারী নির্যাতনসহ সকল অপরাধের সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকেও বারবার মাওলানা মুহিববুল্লাহকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের দাবী করা হয়। কিন্তু আজও তার নামে মানবতাবিরোধী মামলা দায়ের করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দালাল তালিকায় ১৫ নং সদস্য তৎকালীন গদিনাসীন পীর মাওলানা আবু জাফর মোঃ সালেহ এর নির্দেশে পুত্র শাহ মুহিববুল্লাহ ঘাতক, দালাল রাজাকারদের নিয়ে ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, নারী নির্যাতন পরিচালনা করতেন বলে ছারছিনা তথা স্বরূপকাঠীর লোকজন সাক্ষ্য দেয়। সংখ্যালঘু হত্যা ও তাদের সম্পদ দখলের নেতৃত্বেও ছিলেন এই মাওলানা মুহিববুল্লাহ এমন কথা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলের মুখে মুখে। বর্তমানে তিনি হিন্দুদের জমি দখল, সরকারী রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ ও গরীব মানুষের সম্পদ হরণসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে বহু অভিযোগ আছে। পিরোজপুরের মানুষের আশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা মহিববুল্লাহকে বিচারের আওতায় আনবেন।
Share!