টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারাবাড়ি গ্রামের নবম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে মধুপুর এলাকায় গণধর্ষণের মামলায় এক নারীসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে রায়ে আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার মোগলপাড়া গ্রামের বিথী আক্তার ওরফে ইভা (২২), কালিহাতি থানার আউশনারা বোকরেবাইদ গ্রামের এসএম নূরুজ্জামান ওরফে গেদা (৪৫), একই থানার কুটিবাড়ি গ্রামের মো. হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন (৩১), একই থানার জটাবাড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. শাহজাহান আলী ওরফে শাহজাহান ও টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার বোলালী মধ্যপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান ওরফে মনি। ভিকটিমের পক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী মো. জালাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের টঙ্গী শাখার সভাপতি আনোয়ারা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর আসামি বিথী আক্তার ইভা তার মামাত বোনের বিয়েতে ওই (ধর্ষণের শিকার)বান্ধবীকে নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি বিথী আসামি নুরুজ্জামান, হারুন অর রশিদ, শাহজাহান ও মনিরুজ্জামানের হাতে ওই স্কুল ছাত্রীকে তুলে দেয়। এসএম নুরুজ্জামান গেদার বাড়িতে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে চারদিন পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে ধর্ষণে সহায়তাকারী আসামি বিথী আক্তার ইভা অসুস্থ ওই ছাত্রীকে বাড়ির কাছে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ভাই ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলাটি টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল। পরে এ বিচারক বিব্রতবোধ করায় হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর মামলাটি গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়।
গণধর্ষণের মামলায় এক নারীসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
Share!