বাকি আর আড়াই মাস। তারপরই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দুই বছরের (২০১৫-১৬) কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আসবে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দেশে বিশেষ কোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ না করলে মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে এই সমিতির। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি চলতি কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ওই মাসেরই শেষ দিকে নতুন কমিটি ঘোষণার আভাস দিয়েছেন সমিতির নেতারা।এরই মধ্যে নতুন কমিটির নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। পরপর দুবার নির্বাচিত সভাপতি শাকিব খান আর নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন আগেই। তাই আগামী নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান এক প্যানেলে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমি আর জায়েদ খান দুজন মিলে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের জন্য ভালো কিছু করতে চাই।’ সম্ভাব্য সভাপতি পদে আরও শোনা যাচ্ছে মিজু আহমেদ, ওমর সানী আর সাধারণ সম্পাদক পদে অমিত হাসানের নাম।
এদিকে মেয়াদের শেষে এসে শিল্পী সমিতির চলতি কমিটির কার্যক্রম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রশিল্পীরা। শিল্পীদের কেউ কেউ বলছেন, বিগত নির্বাচনের আগে আগে শিল্পীদের আবাসনব্যবস্থা, দুস্থ শিল্পীদের ফান্ডসহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। বিজয়ী হওয়ার পর তার একটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি সব শিল্পীকে নিয়ে বছরে একটি পিকনিক করার গত দিনের রেওয়াজটা ভেঙে দিয়েছে এ কমিটি।এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি চলতি কমিটির সহসভাপতি ওমর সানী। তবে পিকনিক না হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই অভিনেতা। তিনি বলেছেন, ‘পিকনিক না হওয়াতে সাধারণ শিল্পীদের মতো কষ্ট পেয়েছি আমিও।’অভিযোগ আছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর চলতি কমিটির এ পর্যন্ত ১১টি সভা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সভাতেই সভাপতি শাকিব খান উপস্থিত ছিলেন না। বেশির ভাগ সময়ই পালাক্রমে দুই সহসভাপতি নাদির খান অথবা ওমর সানীই সভা করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চলতি কমিটির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মনে হয় দুই-তিনটি সভায় সভাপতি শাকিব খান উপস্থিত ছিলেন। নেতাই যখন মিটিংয়ে থাকেন না, তাহলে কীভাবে এই কমিটি দিয়ে ভালো কাজ হবে?’অনুপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করে শাকিব খান বলেন, ‘শুটিংয়ের কারণে একটা বা দুটো সভায় থাকতে পারিনি। তবে মিটিংয়ে না থাকলেও বিষয়গুলো মুঠোফোনে দেখভাল করেছি।’
এ ব্যাপারে কমিটির সহসভাপতি ওমর সানী বলেন, ‘সভাপতির অনুপস্থিতিতে আমি তিনটি সভায় ছিলাম। ১০ নভেম্বর সবশেষ ১১তম সভাতেও সভাপতি উপস্থিত থাকতে পারেননি।’গঠনতন্ত্রে আছে, সমিতির সব সদস্যকে নিয়ে বাত্সরিক সাধারণ সভা করতে হয়, সেখানে বিগত দিনের আয়-ব্যয় ও সারা বছরের কমিটির বিভিন্ন কার্যক্রমগুলো তুলে ধরা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত দুই বছরে এমন একটিও সাধারণ সভা হয়নি। এমনকি মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদন না করেই শিল্পীদের মাসিক চাঁদার হার বাড়ানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান। তিনি বলেন, ‘নানা সমস্যার কারণে সব কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে শিল্পীদের বিপদ-আপদে সব সময়ই পাশে থাকার চেষ্টা করেছি আমরা।
মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
Share!