খেলা তখন প্রায় শেষ হয়েই আসছে। ইংল্যান্ড এগিয়ে ২-০ গোলে। ভিড়ের ঝামেলা এড়াতেই অনেক দর্শক আগেভাগে ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ত্যাগ করছিলেন। স্পেনের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুই গোলে এগিয়ে থাকার তৃপ্তি ছিল সকলের চোখে-মুখে। কিন্তু একি! ৮৯ মিনিটের পর গোল খেয়ে বসল ইংল্যান্ড। তা-ও সই। দল তো জিতছে। কিন্তু যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ইসকোর দারুণ এক গোলে হতবাক সবাই।
প্রীতি ম্যাচ হলেও স্পেনের বিপক্ষে জয়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণই ছিল ইংল্যান্ডের জন্য। এমনিতে তো বছরটা ভালো যায়নি। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থতার পর, সদ্য নিয়োগ পাওয়া কোচ স্যাম অ্যালারডাইসের কেলেঙ্কারি। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের চার ম্যাচের অস্থায়ী চাকরিতে দারুণ একটা প্রাপ্তি হয়ে থাকত স্পেনের বিপক্ষে জয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ ইংল্যান্ড। তবে চার ম্যাচের অন্তর্বর্তীকালীন চাকরিটা মোটেও খারাপ করেননি সাউথ গেট। চার ম্যাচের মধ্যে দুটিতে ইংল্যান্ড জিতেছে, ড্র করেছে দুটিতে। স্থায়ীভাবে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে সাউথগেট।
স্পেনের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলেছে ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলির দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে ২-০ গোলে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। প্রথম গোলটি আসে প্রথমার্ধে অ্যাডাম লাল্লানার পেনাল্টি সদ্ব্যবহারে। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ হেডে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নেন জেমি ভার্ডি।
খেলা যখন প্রায় শেষের দিকে, ঠিক তখনই ইংলিশ রক্ষণভাগের ভুলে গোল করেন লাগো আসপাস। দর্শকেরা তখনো ভাবতে পারেননি যে এই ম্যাচটা অমীমাংসিতভাবেই শেষ হতে যাচ্ছে। যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ইসকো কঠিন এক কোণ থেকে ইংলিশ গোলকিপার টম হিটনকে বোকা বানান। বোকা বনে যান ওয়েম্বলির হাজার হাজার দর্শক। ম্যাচের নবম মিনিটেই পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। লাল্লানার দারুণ একটি পাস থেকে ভার্ডি বল পেয়ে যান। প্রথম টাচটা অবশ্য ভালো হয়নি। দ্বিতীয় টাচে ভার্ডি স্পেন গোলকিপার পেপে রেইনার বাঁ দিক দিয়ে বল বের করতে চাইলে রেইনা তাঁকে ফাউল করেন। পেনাল্টি কাজে লাগান লাল্লানা তীব্র শটে। ইংল্যান্ডের হয়ে টানা তিন ম্যাচে গোল পেলেন লিভারপুলের এই প্লে মেকার। যদিও স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। চোটের কারণে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রস থেকে দারুণ এক ডাইভিং হেডে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় গোলটি করেন ভার্ডি। এটি ১৪ ম্যাচ পর ভার্ডির প্রথম গোল। ৮৯ মিনিটে লিভারপুল ফরোয়ার্ড লাগো আসপাস ডানপ্রান্ত দিয়ে ইংল্যান্ডের বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের বাঁকানো এক প্লেসিং শটে ব্যবধান কমান। শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে ইসকোর যখন গোল শোধ করে দিলেন তখন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না ইংলিশদের
যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ইসকোর দারুণ এক গোলে হতবাক সবাই
Share!