যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদকালে বিজ্ঞানের সম্ভাব্য পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে দেশটির বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন। বিজ্ঞানের বারোটা বাজার আশঙ্কায় আছেন তাঁরা। আজ বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।ট্রাম্পকে বিজ্ঞানের প্রতি বৈরী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি হিসেবে অনেকে বিবেচনা করেন। সে অনুযায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে তিনি হতে পারেন সবচেয়ে বিজ্ঞানবিরোধী।ট্রাম্পের আমলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কী হবে, গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ মিলবে কি না, এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীসমাজ চিন্তিত। তাঁরা সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন।আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটির পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক মাইকেল লুবেল সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম বিজ্ঞানবিরোধী প্রেসিডেন্ট। এর পরিণতি হবে খুব ভয়ংকর।বিজ্ঞানের ব্যাপারে ট্রাম্পের মনোভাব যখন এমন প্রতিকূল, তখন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের অবস্থান আরও কট্টর। তিনি চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ নাকচ করা ঘরানার লোক।কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-পদার্থবিদ রবিন বেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক অবকাঠামো তলানিতে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিষয়টি নিয়ে। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ট্রাম্প বিরুদ্ধ মনোভাব পোষণ করেন।জলবায়ু পরিবর্তনকে স্রেফ আবহাওয়ার বিষয় মনে করেন ট্রাম্প। এই পরিবর্তনের জন্য চীনকে দায়ী করার মতো কাণ্ডও ঘটিয়েছেন তিনি।জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেওয়া প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। কথা অনুযায়ী ট্রাম্প কাজ করলে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন জটিল হয়ে উঠবে।
Share!