গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে ঢুকে সরোয়ার হোসেন মামুন নামে এক শিক্ষককে জুতাপেটা ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আবুল কালাম নামে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলার নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত অভিভাবক আবুল কালামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক সরোয়ার হোসেন মামুন বলেন, সকালে কলেজে এসে অধ্যক্ষের কক্ষে হাজিরা খাতা স্বাক্ষর করতে যাচ্ছিলাম। এ সময় অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে এ স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার হোসেনের বাবা আবুল কালাম শেখ হঠাৎ করে আমাকে চড়-থাপ্পর ও কিলঘুষি মারতে মারতে অধ্যক্ষের সামনে নিয়ে যান। এরপর সেখানে পায়ের জুতা খুলে আমাকে জুতাপেটা করতে থাকে। পরে অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা আমাকে রক্ষা করেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ওই শিক্ষককে জুতাপেটা করে সব শিক্ষক ও স্কুলের অপমান করেছেন। ওই অভিভাবকে গ্রেপ্তার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন চলবে। ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরিদ আহম্মেদ সিকদার ও কামাল তালুকদার বলেন, এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এদিকে অভিযুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষ আশুতোষ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ওই ছাত্রের নাম (শাহরিয়ার হোসেন) তৃতীয় নম্বর ক্রমিকে ছিল। কিন্তু বোর্ড থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে ওই ছাত্রের নাম এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। এতে ওই ছাত্রের অভিভাবক (বাবা) ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক সরোয়ার হোসেন মামুনের ওপর হামলা করেছে। অভিযুক্ত অভিভাবকের নামে থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছে। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, ঘটনার পর পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্ত ওই অভিভাবককে আটকের চেষ্টা চলছে। – See more at: http://amar-desh24.com/bangla/index.php/details/humanRights/1962#sthash.LL06fQcO.dpuf
Share!