রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহর। ১৭ নভেম্বর এই শহরেই শুরু হওয়ার কথা পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট।
এই মুহূর্তে নিয়েলসেনে আছে সফরকারী পাকিস্তান দল। সেখানে হোটেলে বসেই রোববারে এই ভূমিকম্পের ভয়াবহতা টের পেয়েছে তারা। পাকিস্তান দলের ম্যানেজার ওয়াসিম বারি এটিকে বলেছেন, ‘ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা।’নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে নিয়েলসেনের প্রস্তুতি ম্যাচটিও একটি হতাশাজনক অভিজ্ঞতা পাকিস্তান দলের জন্য। তিন দিনের ম্যাচটিকে বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি এক ওভারও। রোববার তাই মাঠে না গিয়ে হোটেলে শুয়ে-বসেই সময় কাটছিল পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের। সাততলায় থাকার কারণে ভূমিকম্পের ভয়াবহতাটা যেন বেশি করেই টের পেয়েছেন তাঁরা। সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম বারি সেই অভিজ্ঞতারই বর্ণনা দিয়েছেন, ‘হোটেলে খেলোয়াড়েরা যে যার মতো সময় কাটাচ্ছিল। অনেকেই টেলিভিশনে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ দেখছিল। এমন সময় পুরো হোটেল কেঁপে ওঠে। হোটেলের জানালা-দরজা সব কাঁপতে থাকে। প্রথমে বেশ ভয় পেয়ে গেলেও পরে হোটেলের কর্মচারীদের সাহায্যে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয় গোটা দল। এটি ছিল ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা।’
পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞতাটা আরও বাজে। তাঁরা আছেন ক্রাইস্টচার্চেই। হোটেলের ১৩ তলায় বসে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার পর এখনো আতঙ্ক কাটেনি নারী দলের মধ্যে। দলের কোচ, পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলী বলেছেন, ‘মেয়েদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক রয়ে গেছে।’
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ মিকি আর্থার বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা খুব ভয় পেয়ে গেছে। আতঙ্কে অনেকে গতরাতে নিজেদের ঘরেও ঘুমায়নি।’ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর ক্রাইস্টচার্চে টেস্ট ম্যাচটি আদৌ হতে পারবে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। সূত্র: দ্য ডন, রয়টার্স।
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্টে
Share!