শিক্ষায় পুরুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে নারীরা। পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে কর্মক্ষেত্রেও কি পিছিয়ে তারা? কদিন আগেও ভেবেচিন্তে বলতে হতো, এখন যে কেউ সহজেই বলবেন, ‘না’। তাহলে রাজনীতিতেই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোতে আগের তুলনায় বাড়ছে নারীর অংশগ্রহণ। আর আওয়ামী লীগে এই সংখ্যাটা অন্য দলের তুলনায় আরও বেশি।আওয়ামী লীগের সবশেষ জাতীয় সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৭৩ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮১। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে ৭৪টি নাম। এর মধ্যে ১৫ জনই নারী। শতকরা হিসেবে এটা ২০ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রধান আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে এতো বেশি সংখ্যক নারী স্থান পায়নি।সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের শর্ত পূরণ থেকে অবশ্য এখনও আওয়ামী লীগ অনেকটাই পিছিয়ে। ২০২০ সালের মধ্যে সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অন্তর্ভূক্তি বাধ্যতামূলক। সেই হিসাবে চার বছরের মধ্যে নারীর সংখ্যা দেড় গুণেরও বেশি বাড়াতে হবে।আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, চার বছরের মধ্যে আরও বেশি নারী আসবে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সভাপতি শেখ হাসিনা এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক। এ কারণেই শতকরা হিসাবে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৫০ ভাগেরও বেশি।২০১২ সালের জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ৭৩ সদস্যের কমিটিতে নারী ছিলেন দশজন। তাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জোহরা তাজউদ্দিন মারা যান। অর্থাৎ ওই কমিটিতে নারীর সংখ্যা ছিল ১৩ শতাংশের কিছু বেশি। এবার তা বেড়ে ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও শতকরা হিসেবে আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশ পিছিয়ে বিএনপি। সব মিলিয়ে দলটির ৫০২ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে নারীর সংখ্যা ৬৭। যা শতকরা হিসাবে ১৩ দশমিক ৩৪ ভাগ।
শিক্ষায় পুরুষকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে নারীরা
Share!