টেস্টে আগের ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেও পরের ম্যাচ বাদ পড়াই শুধু নয়, ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে গিয়েছিল জেসন গিলেস্পির! অবশ্য তিনি বোলার। ব্যাট হাতে নয়, অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা বিবেচনায় নিয়েছিলেন বল হাতে তাঁর পারফরম্যান্স। সেদিক দিয়ে জ্যাকসন বার্ড প্রশ্ন তুলতেই পারেন। টেস্টে সর্বশেষ ইনিংসেও আছে ৫ উইকেট, তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ডাক পেলেন না! কেন জানেন, ব্যাটিংটা যে সুবিধার নয় বার্ডের!এখান থেকে একটা বার্তা পেতে পারে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের টেল এন্ডারদের ব্যাটিং চোখে বিঁধছে। চট্টগ্রাম টেস্টে দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপও কাজে আসছে না। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকেরা বার্ডের বদলে দলে নিয়েছেন পেসার জো মেনিকে। কারণ, তাঁর ব্যাটিংটা বার্ডের চেয়ে অনেক ভালো। অথচ গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বার্ড। এখনকার ক্রিকেটে টেল এন্ডারদের সেই আগের ভূমিকা আর নেই। এখন তাঁদেরও ব্যাটিং করতে জানতে হবে। রান না করুন, অন্তত এক প্রান্তে নিজেদের উইকেট ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট ভালো হতে হবে ডিফেন্স। এই গুণটাই বাংলাদেশের টেল এন্ডারদের কারও থাকলে চট্টগ্রাম টেস্টটা হয়তো ২২ রানে হারতে হতো না!ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের দুঃখ হয়ে রইল ‘টেল এন্ডার’ শব্দ যুগল। নিজেদের টেল এন্ডারদের কাছ থেকে বাংলাদেশ যেমন তেমন কিছু পায়নি, উল্টো দিকে ইংলিশ টেল এন্ডাররা বারবার ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ঢাকা টেস্টেও ১৪৪ রানেই ইংল্যান্ডের ৮ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরেও নবম উইকেটে আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকস গড়েছিলেন ৯৯ রানের জুটি। বাংলাদেশ বড় লিড পেতে চলেছিল, সেখানে উল্টো ইংল্যান্ডই লিড নিয়ে নিল। ওয়ানডে সিরিজেও টেল এন্ডাররা প্রয়োজনের সময় ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যেতে পারেনি। না হলে এবারের সফরটা অন্যভাবেই মনে রাখতে হতো ইংল্যান্ডকে।অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে বিশেষ করে ভাবছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের কারণে। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার টেল এন্ডারদের বাজে পারফরম্যান্স পুরো দলকে ভুগিয়েছে। এ কারণেই ৫ উইকেট নিয়েও জায়গা হলো না বার্ডের। তবে হতাশ তিনি হতেই পারেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক রডনি মার্শ বলেছেন, ‘আমি ব্যাপারটি নিয়ে বার্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি, ওর ব্যাটিংটাই অস্ট্রেলীয় টেস্ট দল থেকে ওর বাদ পড়া ত্বরান্বিত করেছে। আমাদের শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদেরও এখন রান করতে হবে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ যত ভালোই হোক, দলের বিপদে টেল এন্ডারদের ভূমিকাটা প্রত্যাশিতই।’টেস্ট দলের ১১ জনকেই ব্যাটিং পারতে হবে, ভূমিকা রাখতে হবে দলের প্রয়োজনে—এমন দিন বোধ হয় এসেই গেছে!
টেস্টে আগের ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করেও পরের ম্যাচ বাদ
Share!