দিনাজপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুটির প্রজনন অঙ্গের ক্ষত হাড় পর্যন্ত পৌঁছেছে। এতে ওই অঙ্গে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাই এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণই এখন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর আগে চেতনানাশক দিয়ে শিশুটিকে অজ্ঞান করে নেওয়া হয়। হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফ-উল হক এসব তথ্য জানান।আশরাফ-উল হক বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির প্রজনন অঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। শিশুটির শরীরে অস্ত্রোপচারের জন্য এক থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে তার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মানসিক অবস্থা কিছুটা ভালো হলে শিশুটি বাড়ি ফিরতে পারবে। ভবিষ্যতে অস্ত্রোপচার করে শিশুটির প্রজনন অঙ্গকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদী এ চিকিৎসক।পাঁচ বছরের এই শিশুকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ওর মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। শরীরে ছিল কামড়ের দাগ। আর ঊরুতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ক্ষত।গত মঙ্গলবার শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু সেদিন আর শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ভোরে শিশুটিকে তার বাড়ির কাছে একটি হলুদখেতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, তারপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে শিশুটি এখন ওসিসিতে। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে শিশুটি বড় জ্যাঠা বা বড় আব্বু বলে ডাকত বলে শিশুটির পরিবার দাবি করে।
দিনাজপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুটির প্রজনন অঙ্গের ক্ষত হাড় পর্যন্ত পৌঁছেছে
Share!