শেখ রাসেলের জন্মদিনে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে মৌসুমের সেরা জয় উদযাপন করলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জেবি বাংলদেশ প্রিমিয়ার লিগে রাসেল ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় শিরোপাধারী শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে।এর আগে ১০ টি ম্যাচে একটি জয়, দুটি ড্র ও সাতটি হার নিয়ে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন স্থানে ছিল শেখ রাসেল। মৌসুমে নিজেদের সেরা জয়ে তারা পেল ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা।.অন্যদিকে জামালের দুঃসময়ই রইলো অব্যাহত। আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে হেরে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ নিতে বাধ্য হলো শিরোপাধারীরা।খেলার ১৬ মিনিটে জামালকে থমকে দেন ডিফেন্ডার হয়েও ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা নাসিরুল ইসলাম। মাঝমাঠ থেকে দুই জন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে জামাল ভূইয়া ফরোযার্ড পাস দেন মোনায়েম খান রাজুকে। রাজু ডানপ্রান্ত থেকে কোনাকুণি দৌড় শুরু করা নাসিরকে থ্রু পাস দিলে নাসির ঠাণ্ডা মাথায় জামাল গোলরক্ষক হিমেলের পায়ের মাঝ দিয়ে শেখ রাসেলকে উপহার দেন ম্যাচের অগ্রগামিতা। এটিই শেষ পর্যন্ত গড়ে দেয় জয় পরাজয়ের ব্যবধান।হাইতিয়ান ফরোযার্ড ওয়েডসন এনসেলমে, নাইজেরিয়ান এমেকা ডারলিংটন, এনামুলের অভিজ্ঞতা, সারওয়ার জামান নিপু ও রাকিব সরকারের তারুণ্য সবকিছু দিয়েই সমতা আনার চেষ্টা করলো জামাল, কিন্তু প্রথমার্ধে তারা পায়নি কোন গোলের দেখা। বরং ২৭ মিনিটে হিমেল মোনায়েম খান রাজুর জোরালো শট ফিস্ট করে কর্নার না করলে দুই গোলে এগিয়ে যেত রাসেল।বিরতির পর একই ধারা অব্যাহত থাকে। মরনপণ চেষ্টা করেছে জামাল, কিন্তু নিজ রক্ষনদূর্গ অটুট রাখতে দৃঢ়প্রত্যয়ী রাসেল। ৬২ মিনিটে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে বাঁকানো এক ফ্রি-কিকে প্রায় সমতা এনে ফেলেছিলেন এমেকা। রাসেল গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান শেষ মুহূর্তে ডাইভ দিয়ে বল পাঞ্চ করেন। বিপদমুক্ত হয় দল তবে পোস্টের পেছনের জাল উঁচু করার লোহায় মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে।পরে আর বদলায়নি ম্যাচের চিত্র। জামালের সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে রাসেল হাসে জয়ের হাসি।১১ ম্যাচে জামালের পয়েন্ট ১৯, অবস্থান চতুর্থ। রাসেলের পয়েন্ট আট ১২ দলের মাঝে তাদের অবস্থান একাদশ স্থানে।
অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে মৌসুমের সেরা জয় উদযাপন করলো শেখ রাসেল
Share!