টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিনিয়োগ বাড়ানোই হবে মূল চ্যালেঞ্জ। যার বড় অংশ আসতে হবে বেসরকারি খাত থেকে। এমনটা মনে করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
তবে এজন্য নিশ্চিত করতে হবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামোর উন্নয়ন। শনিবার ঢাকা চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিতে সমস্যা চিহ্নিত করে সামনে এগুচ্ছে সরকার।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি। বিশ্বকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি, সুশিক্ষিত করা এবং শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়নসহ ১৭ টি লক্ষ্য বাস্তবায়নে ১৮৯ দেশ মিলে এক যোগে কাজ করার আনুষ্ঠানিক দলিল। জাতিসংঘের উদ্যোগে নেয়া এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু সেজন্য কতোখানি প্রস্তুত বাংলাদেশ?
যদিও, এর আগে, এমডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য এখনো বহু দেশের চেয়ে বেশি। তাই, এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও, দুশ্চিন্তা নেই খুব একটা। আছে কেবল, অসংখ্য চ্যালেঞ্জ, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঢাকা চেম্বারের আলোচনায় বক্তাদের মত, এজন্য বিনিয়োগ করতে হবে পরিকল্পিতভাবে। আর এজন্য এগিয়ে আসতে হবে বেসরকারি খাতকে।
তবে বিনিয়োগ আনতে, অবকাঠামো উন্নয়নের তাগিদও এসেছে জোরালোভাবে। উঠে এসেছে, দেশের আর্থিক খাত কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বিষয়টিও। তাই, ভবিষ্যতে এসব সমস্যা সমাধান করে, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি ওঠে সমানতালে। তবে, অর্থপ্রতিমন্ত্রীর মতে, অবস্থান উন্নয়নে আন্তরিক সরকার। তাই, স্বপ্ন বাস্তবায়নেও পিছিয়ে থাকবে না বাংলাদেশ।
বক্তারা বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নেয়া উদ্যোগগুলোর গুণগত বাস্তবায়ন, সহায়ক হতে পারে এসডিজিজি বাস্তবায়নে।