“বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস” এর উদ্যোগে ও আয়োজনে নভেম্বর ০৬, ২০১৫ খ্রিঃ রোজ শুক্রবার, সকাল ১১.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসকাবের (১৮, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০) ২য় তলার হলরুমে বিশ্বের তথা বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির প্রোপটে বঙ্গরত মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন (আবু) কর্তৃক উদ্ভাবিত “গণতান্ত্রিক সমবাদ তত্ত্ব” এর উপর ভিত্তি করে বিশ্বের তথা বাংলাদেশের জনগণের শান্তির সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি) এর পুণঃ সংশোধিত ৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন “বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস” (বিজেসি) এর সভাপতি বঙ্গরত মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন (আবু)। দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন পেশাজীবি ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গরতœ মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল বাংলার জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি। জনগণ আংশিকভাবে রাজনৈতিক অধিকার পেলেও অর্থনৈতিক মুক্তি পায়নি। সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আজ সময়ের দাবী। এ সময় সম্মিলিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক জনাব গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি)- র সেক্রেটারী জনাব মোঃ মারফত আলী মাষ্টার ও সাংগঠনিক সমপাদক মো: আজাহার আলীসহ বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০৮ (আট) দফা কর্মসূচি-
১। সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার রায় এবং ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে তথা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরীতে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করণ।
২। যুগোপযোগী বৈষম্যহীন শিা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করণে ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় বিধি-বিধানের আলোকে জনসাধারণকে সতর্ক সচেতন করণ।
৩। রাষ্ট্র পরিচালনায় গতানুগতিক রাজনীতির বিপরীতে ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ রেখে “সমবাদ তত্ত্ব”(Theory of Equalism)– র ভিত্তিতে “গণতান্ত্রিক সমবাদ” (Democratic Equalism) পদ্ধতি প্রবর্তন করণ।
৪। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী প্রদানসহ ধনী-গরীবের ব্যবধান কমাতে সম্পদের সুষম বন্টন ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করণে এবং নিঃস্ব থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শতকরা ৮৫ ভাগ জনগণের জীবনমান বাড়ানোর এবং বেকার সমস্যার সমাধানসহ সকল মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থান নিশ্চিত করণে হযরত ওমর (রা) শাসনামলের অনুকরণে রাষ্ট্র পরিচালনায় সমবাদ তত্ত্ব-র ভিত্তিতে ‘সামাজিক অর্থনীতি’(Social Economy) প্রবর্তন করণ।
৫। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিকরণসহ কোরআনে হাফেজ, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ বেকার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বেকার ভাতা প্রদান করণ।
৬। দেশের আইন শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রায় যুগোপযোগী পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার, সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনী গঠন করণ।
৭। খাদ্য নিরাপত্তা বলয় তৈরীতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, ভূমি সংস্কার আইন প্রণয়ন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করণ।
০৮। বাংলাদেশকে ৫টি প্রদেশ ও ১২টি বিভাগে বিভক্তি করণ এবং প্রত্যেক প্রদেশে একটি করে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন করণ।
আমাদের এ আন্দোলনে ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরীসহ বাংলাদেশের ১৮ জেলায় বসবাসরত ২০০০ এর অধিক সংখ্যক রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবি ও পেশাজীবি বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি) এর নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেসে (বিজেসি) যোগদান করেছেন।