৫০ বছরে পা রাখলেন, শুভ জন্মদিন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।
জন্মদিনের পরিকল্পনা কী?
বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটাব। রাতে সবাই মিলে কোথাও খেতে যাব। আর কবরস্থানে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আমার মা-বাবার কবর তো সিরাজগঞ্জে। সেখানে যেতে পারছি না। তাই ঢাকার যেকোনো একটি কবরস্থানে গিয়ে আমার মা-বাবাসহ সবার জন্য দোয়া করব।
আপনি এখনো তরুণ। এই তারুণ্য ধরে রেখেছেন কীভাবে?
আমি তো মানসিকভাবে এখনো তরুণ। এটা আসলে ধরে রাখার কোনো নিয়ম নেই। আমি যেটা করি, মনেপ্রাণে কারও কখনো ক্ষতি চাই না। করিও না। মানসিকভাবেও এই চিন্তা করি না কখনো। লোকজন আমাকে বোকা ভাবেন। বোকা লোক রাগেও বেশি। এর সবই আমার মধ্যে আছে। তারুণ্য ধরে রাখার এটা একটা কারণ হতে পারে।
আপনি তো এই বয়সেও সমানতালে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর চরিত্রে অভিনয় করে চলেছেন…
(হাসি) আমি পারতপক্ষে না করার চেষ্টা করি। বিশেষ অনুরোধ বা যদি ৮-১০ বার ফেল করেছে—এমন শিক্ষার্থীর চরিত্র হয়, তাহলে করি। আর লোকজন তো দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাই চাইলেও হুট করে বদলাতে পারি না।
সত্যি করে বলেন তো, মানসিকভাবে নিজেকে কত বছর বয়সী ভাবেন?
(হাসি) আমি নিজেকে তরুণ ভাবি সব সময়। একটা সময় এসব বয়স নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে যেতাম। যখন ৩০ হলো, ৪০ হলো, তখন একটু ভয়ই পেতাম। কিন্তু এখন আর তেমন কিছু মনে হয় না। শুধু এটাই ভাবি, আমি এখনো তরুণ। আর বয়স যদি বলেন, তাহলে আমি নিজেকে ৩০ বছর বয়সী ভাবি।
জন্মদিনে ভক্তদের কিছু বলবেন?
ক্রিকেট মাঠে হাফ সেঞ্চুরি হলে খেলোয়াড় ব্যাট উঁচু করে দেখান। আমার ৫০ বছর হলো, আমি তো আর ব্যাট উঁচু করে দেখাতে পারব না। তাই মাথা নত করে সবাইকে স্যালুট দিতে চাই। সবাই যেন দোয়া করেন আমার জন্য। তাঁদের ভালোবাসা নিয়ে সামনের দিনগুলো কাটাতে চাই