Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

প্রেমিক-প্রেমিকাকে ডেটিং স্পেস এর ব্যবস্থা করল ‘স্টে-আঙ্কল’ কোম্পানির

ডেটিং শব্দটা রক্ষণশীল ভারতে এখনো সহজভাবে মেনে নেওয়ার নয়। তাই নিভৃতে সময় কাটাতে নিরাপদ জায়গা খুঁজে পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রেমিক-প্রেমিকাকে। যখন-তখন হামলা চালিয়ে বসে বেরসিক পুলিশ! তাতে শুধু হয়রানি বা অর্থ খরচ নয়, সমাজেও হেয় হতে হয়। অথচ, এমন একটা নিরাপদ জায়গা খুঁজে পেতে টাকা খরচ করতেও আপত্তি নেই ‘অবিবাহিত কাপলদের’। এ কথা মাথায় রেখেই ‘ডেটিং স্পেস’ ভাড়ার ব্যবসা খুলে বসেছে ‘স্টে-আঙ্কল’ নামের একটি কোম্পানি।এতদিন ডেটিংয়ের জন্য হোটেলকেই বেছে নিতো প্রেমিকযুগল। তবে প্রায়ই হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। এতে শুধু প্রেমিক যুগলই নয়, ঝামেলায় পড়তে হয় হোটেল কর্তৃপক্ষকেও। কেউ কেউ অর্থের জন্য ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও অনেকে তাদের হোটেলে এমন অবৈধ কাপলদের জায়গা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।পুলিশের বক্তব্য, ডেটিংয়ের নামে এসব প্রেমিক যুগল নির্জন স্থানে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এতে সমাজে অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। অবৈধ গর্ভধারণ, গর্ভপাত, এমনকি খুন-খারাবির ঘটনাও ঘটছে।প্রেমিক যুগলদের জন্য চারিদিকে যখন কড়া প্রহরা, তখন ডেটিং স্পেস ভাড়ার বিজ্ঞাপন নিয়ে হাজির হয়েছে ‘স্টে-আঙ্কল’।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণী, যিনি ডেটিংয়ের জন্য নিয়মিত হোটেলে যান, তিনি বলছেন, “কোন হোটেলে গেলে সেখানকার লোকজন এমনভাবে তাকিয়ে থাকবে যে আপনি খুব অস্বস্তি-বোধ করবেন। অথচ এ বিষয়ে নিজের কাছে বিরক্ত বা অস্বস্তি লাগার কিছু নয় এটা।”এই তরুণীর মতো কাস্টমারদের সুবিধার জন্যই নতুন এ ব্যবসা চালু করেছে স্টে-আঙ্কল। অবিবাহিত প্রেমিক যুগলদের নিভৃতে সময় কাটানোর জন্য হোটেল রুমের ব্যবস্থা করে দেয় তারা। বিভিন্ন হোটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা এ ‘সেবাটি’ চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার জন্য রুম ভাড়া নিতে পারবে প্রেমিক যুগল।অবশ্য ‘স্টে-আঙ্কল’ নামের এই কোম্পানিটি বলছে কাজটি অবৈধ না হলেও, হোটেলগুলোকে এ ব্যবসার আওতায় আনা সহজ হয়নি।কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা সঞ্চিত বলছেন, “স্টে-আঙ্কলের কাজ শুরু হয়েছে প্রায় সাত মাস হল। এখনও অনেক ধরনের সমস্যায় আমাদের পড়তে হয়। সামাজিক নীতি নৈতিকতার কিছু বিষয়ে ভাবনার পাশাপাশি মাঝে মধ্যে পুলিশ যেভাবে হোটেলে হানা দেয় এবং যুগলদের আটক করে, তাতে হোটেল মালিকেরা ভয় পায়।”গত বছর মুম্বাই পুলিশ সিটি হোটেল থেকে কুড়ি জনেরও বেশি দম্পতিকে আটক করে। এখনও প্রায়ই শোনা যায় যে হোটেলগুলোতে গিয়ে দম্পতিদেরকে হয়রানি করছে পুলিশ। আর এটাই এখনও হোটেল মালিক ও প্রেমিক-প্রেমিকাদের উদ্বেগের বিষয়।”ঝুঁকিপূর্ণ হলেও লাভজনক হওয়ায় এ ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন অনেক হোটেল ব্যবসায়ী। মুম্বাইয়ের কার্ল রেসিডেন্সি নামে একটি হোটেলের ম্যানেজার বলছেন, “আমাদের হোটেলে আমরা যুগলদের জন্য ব্যবস্থা করছি- আমরা করবো। এটা যে ভালো কাজ তাও আমরা মানি, আর এমন ব্যবস্থা করে ব্যবসাতেও আমাদের লাভ হচ্ছে

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top