বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাকি ‘দম বন্ধ করা’, মাছি গলার কোনো উপায় নেই এখানে। ইংলিশ ক্রিকেটাররা ঢাকার যে হোটেলে আছেন, সেখানে সব সময় আছেন নিরাপত্তা দলের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী সদস্যরা। হোটেলের ছাদেও দূরবীক্ষণ ও স্নাইপার বন্দুক নিয়ে নিরাপত্তা প্রহরী। হোটেল থেকে অনুশীলন মাঠে যাওয়া-আসার পুরো পথে গোয়েন্দা নজরদারি। রাষ্ট্রীয় প্রধানের সমমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা তো ‘দম বন্ধ করা’ হবেই!দম বন্ধ করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইংল্যান্ডের চাহিদা অনুযায়ীই সাজানো। কিন্তু ঢাকার আবহাওয়া! এমন আবহাওয়া নিশ্চয়ই প্রত্যাশিত ছিল না সফরকারী ক্রিকেটারদের কাছে! শুক্রবার ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই ভ্যাপসা গরমে ত্রাহি অবস্থা তাঁদের। পাঁচ তারকা হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আরামদায়ক কক্ষে রাতের ঘুমটা তাঁদের ভালো হলেও হোটেল থেকে বের হলেই জ্বলন্ত উনুনের ওপর বসে থাকার অনুভূতি! গতকাল ফতুল্লায় অনুশীলন ম্যাচে মাঠে নেমেই তাঁরা বুঝলেন, এবার বাংলাদেশ সফরে কী গরমেই মাঠে কাটাতে হবে তাদের। ফতুল্লার প্রস্তুতি ম্যাচটা সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ইংলিশ বোলারদের। শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জের ‘দূষণ’ও নাকি সমস্যায় ফেলেছে তাঁদের। দ্য টেলিগ্রাফ লিখেছে, বিসিবি একাদশের বিপক্ষে এই অনুশীলন ম্যাচে নাকি মাঝে-মধ্যেই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় পড়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ওপর ৮০ শতাংশের কাছাকাছি আর্দ্রতার ব্যাপারটি ভয়াবহ কষ্টের কারণ হয়েছে ১১-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবহাওয়ার লন্ডন ছেড়ে আসা ইংলিশদের। মধ্য দুপুরে বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানদের বোলিং করতে গিয়ে বেশ কয়েকজনের নাকি বারবারই টান পড়েছে মাংসপেশিতে।তবে দিন শেষে ইংল্যান্ড স্বস্তি পেতে পারে এই ভেবে যে ওয়ানডে সিরিজের আগেই এমন কঠিন কন্ডিশনে দারুণ একটি জয়ের অভিজ্ঞতা হলো তাদের। বিসিবি একাদশের ৩০৯ রান টপকে ৩০ বল বাকি থাকতেই ম্যাচটা জিতে বেরিয়ে আসাটা নিঃসন্দেহে ইংলিশ দলকে অনেকটাই নির্ভার আর সাহসী করে তুলবে। ক্রিস ওকসের কথাতেও সে ব্যাপারটা স্পষ্ট, ‘খুব কঠিন কন্ডিশনে খেলাটা হল। এমন কন্ডিশনের সঙ্গে আমাদের কোনো পরিচিতি নেই। তবে আমরা তো এখানে (বাংলাদেশে) এসেছি খুব বেশি দিন হয়নি। সময় যত গড়াবে আমরা এই কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেব। গরম অর ধুলোবালির মধ্যে ৫০ ওভারের একটি ম্যাচ খেলা আমাদের জন্য খুব ভালো হয়েছে।’
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাকি ‘দম বন্ধ করা’!
Share!