স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ অনিবার্য হলে ভারতের পাশে থাকবে বাংলাদেশ। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা তো কোনো অপরাধ করেনি। তারা যদি বাংলাদেশের আইন-কানুন মেনে সাধারণ নাগরিকের মতো জীবনযাপন করে সেক্ষেত্রে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কেন অবিচার করবো? তবে তারা যদি বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন-কানুন ভঙ্গ করে তাদের অভিভাবকদের বাঁচানোর চেষ্টা করে এবং কোনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি সিলেটে কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন, তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হবে বলে আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইস্যুতে সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা কলেন। বিএসআরএফ-এর সভাপতি শ্যামল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তা কোনওদিন ভুলবো না। তাই ভারত যদি কারও দ্বারা আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকাবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সীমানা নেই। পাকিস্তানকে আমরা ‘৭১ সালে পরাজিত করে তাড়িয়ে দিয়েছি। তাই তাদেরকে নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না। তাদের নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথাও নেই। তাছাড়া দেশটি সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছে। যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত বিচার বাংলাদেশের নিজস্ব আইনেই হয়েছে। এ বিষয়ে দেশটির আচরণে আমরা ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ কারণে আমরা সার্ক শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেইনি। তিনি বলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গেই কাজ করবে। ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের পাকা কথা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারত থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত আসামিদের ফেরত আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে আমাদের। সে চুক্তি অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে একটি বেসরকারি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এটি পাসের প্রক্রিয়া চলছে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর যে দায়িত্ব আসবে, মন্ত্রণালয় সেটা পালন করবে।সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যাকান্ড শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে। সীমান্তে একটি লোক মারা যাক তা আমরা চাই না। এসময় সাংবাদিকরা তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন গত কয়েক বছরে সীমান্তে ৭৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করা হলেও ভারতের একজনও মারা যায়নি। ভারতের এ ধরনের আচরণকে সমর্থন করেন কিনা? এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক না। বাংলাদেশীরা মারা গেলেও ভারতের একজনও মারা যায়নি সেটাও ঠিক নয়। তবে আমরা বলতে চাই আমরা সীমান্তে একটি হত্যাকাণ্ডও চাই না। এটা আমরা সমর্থনও করি না। আমরা সীমান্ত হত্যাকাণ্ড জিরোতে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। এজন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
পুলিশ বাহিনীতে হেলিকপ্টার সংযোজন প্রসঙ্গ তিনি বলেন, সন্ত্রাস দ্রুত নির্মূলে আমরা পুলিশ বাহিনীতে হেলিকপ্টার সংযোজন করতে চাই। সেক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে রকম বরাদ্দ দেয়া হবে, যে রকম টাকা ছাড় পাবো সেভাবেই হেলিকপ্টার কিনবো। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই ৩৪ হাজার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজস্ব কার্যালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ইস্যুতে সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা কলেন। বিএসআরএফ-এর সভাপতি শ্যামল সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা একেএম শামীম চৌধুরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তা কোনওদিন ভুলবো না। তাই ভারত যদি কারও দ্বারা আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকাবে। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সীমানা নেই। পাকিস্তানকে আমরা ‘৭১ সালে পরাজিত করে তাড়িয়ে দিয়েছি। তাই তাদেরকে নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না। তাদের নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথাও নেই। তাছাড়া দেশটি সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছে। যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত বিচার বাংলাদেশের নিজস্ব আইনেই হয়েছে। এ বিষয়ে দেশটির আচরণে আমরা ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ কারণে আমরা সার্ক শীর্ষ সম্মেলনেও অংশ নেইনি। তিনি বলে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গেই কাজ করবে। ভারতের সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের পাকা কথা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভারত থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত আসামিদের ফেরত আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে আমাদের। সে চুক্তি অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে একটি বেসরকারি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এটি পাসের প্রক্রিয়া চলছে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর যে দায়িত্ব আসবে, মন্ত্রণালয় সেটা পালন করবে।সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যাকান্ড শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে। সীমান্তে একটি লোক মারা যাক তা আমরা চাই না। এসময় সাংবাদিকরা তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন গত কয়েক বছরে সীমান্তে ৭৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করা হলেও ভারতের একজনও মারা যায়নি। ভারতের এ ধরনের আচরণকে সমর্থন করেন কিনা? এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক না। বাংলাদেশীরা মারা গেলেও ভারতের একজনও মারা যায়নি সেটাও ঠিক নয়। তবে আমরা বলতে চাই আমরা সীমান্তে একটি হত্যাকাণ্ডও চাই না। এটা আমরা সমর্থনও করি না। আমরা সীমান্ত হত্যাকাণ্ড জিরোতে নামিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। এজন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
পুলিশ বাহিনীতে হেলিকপ্টার সংযোজন প্রসঙ্গ তিনি বলেন, সন্ত্রাস দ্রুত নির্মূলে আমরা পুলিশ বাহিনীতে হেলিকপ্টার সংযোজন করতে চাই। সেক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের যে রকম বরাদ্দ দেয়া হবে, যে রকম টাকা ছাড় পাবো সেভাবেই হেলিকপ্টার কিনবো। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগের কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই ৩৪ হাজার পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপরই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
Share!