আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় সৃষ্টি মানুষের কল্যাণে তাঁরই নিকট রোনাজারি করার জন্য পদ্ধতি শিখিয়েছেন। হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম জনমানবহীন ও খাদ্যবিহীন মরুভূমিতে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে যাওয়ার সময় আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন। সে দোয়া আল্লাহ তাআলার নিকট এতটাই পছন্দনীয় হয়েছিল, যা তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে এ জাতির জন্য তুলে ধরেছেন।মুসলিম উম্মাহ যেন এ দোয়ার মাধ্যমে তাঁদের সন্তান-সন্ততি ও পরিবারের জন্য আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করতে পারে। ইবাদাত-বন্দেগি, উত্তম রিজিক প্রদান এবং শুকরিয়া আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি তুলে ধরা হলো-উচ্চারণ : রাব্বানা- লিয়ুক্বি-মুস সালা-তা ফাঝআ’ল আ’ফই’দাতাম মিনান না-সি তাহ্ওয়ি- ইলাইহিম ওয়ারযুক্ব্হুম মিনাছ ছামারা-তি লাআ’ল্লাহুম ইয়াশকুরু-ন। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩৭)অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! তারা যাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও। আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর; যাতে তারা (আল্লাহ তাআলার) শুকরিয়া আদায় করতে পারে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল অভিভাবকের এ দোয়াকে কবুল করুন। প্রত্যেকের পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততিকে ইবাদাত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। সবাইকে উত্তম রিজিক দান করুন। সর্বোপরি শোকর-গুজার বান্দা হিসেবে কবুল করুন। আমিন।