ফকিরাপুলের এরিনা নামের একটি আবাসিক হোটেলে হামিদুর রহমান (৩৮) নামের সাবেক এক সেনাসদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে মতিঝিল থানা-পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হৃদ্রোগের কারণে আট-নয় বছর আগে হামিদুর রহমান সেনাবাহিনীর চাকরি ছাড়েন। পরে তিনি পল্টনের একটি ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক তরুণী ও হোটেলটির ব্যবস্থাপককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হামিদুরের স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, তাঁরা সপরিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় থাকেন। গত বৃহস্পতিবার হামিদুর গ্রামের বাড়ি (ময়মনসিংহের নান্দাইল) যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। হোটেলকর্মীদের বরাত দিয়ে মতিঝিল থানা-পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার হামিদুর এক তরুণীকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ফকিরাপুলের ওই হোটেলে ওঠেন। শনিবার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে হামিদুরের সঙ্গে থাকা তরুণী হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে হোটেলের লোকজন গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় পান। এরপর তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হোটেলে যায় ও লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। হামিদুরের পিঠে লালচে একটি দাগ ছিল, এর বাইরে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে হোটেল থেকেই সন্দেহভাজন হিসেবে ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, হামিদুরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে তিনি দীর্ঘদিন থেকে কাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের বিয়ে করার কথা ছিল।হাসপাতালে নিহতের চাচাতো ভাই বাদল মিয়া অভিযোগ করেন, কৌশলে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান। গতকাল রাত সোয়া আটটায় মতিঝিল থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, হোটেলের ব্যবস্থাপক ও এক তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
ফকিরাপুলের এরিনা আবাসিক হোটেলে সেনাসদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু
Share!