শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘এবারও বছরের প্রথম দিন পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।’মন্ত্রী বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘২০১৭ সালের প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি ও সমমানের স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় ৩৬ কোটি ২২ লাখ ৩৪ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ৫ কোটি বই ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট বই ছাপানো, বাঁধাই ও তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর কাজও যথাসময়ে সম্পন্ন হবে।’তিনি বলেন, ‘আগামী পয়লা জানুয়ারি সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসে প্রথমবারের মতো ৫টি উপজাতীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক দেয়া হবে। একইসাথে প্রথমবারের মতো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক দেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষকদের শ্রেণি-শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্দেশিকাও দেয়া হবে।’এর আগে, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পাঠ্যবই ছাপানো এবং উপজেলায় পাঠানোর সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন।শিক্ষামন্ত্রী বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অবশিষ্ট বই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ছাপানোর কাজ শেষ করতে নিয়মিত ছাপাখানা পরিদর্শনের জন্য এনসিটিবি’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। তিনি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের যথাযথ মান নিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন।
Share!