ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। গত পাঁচ কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় আজ রোববারও সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক কমেছে। আগের দিনের তুলনায় কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অন্যদিকে সূচক ও লেনদেন কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও।
ডিএসইতে আজ লেনদেনের শুরুতে সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কিছুক্ষণ পর কমতে থাকে। দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ১৯ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে হয় ৪৫৩৪ পয়েন্ট। মোট লেনদেনের পরিমাণ ৪৬৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। গত কার্যদিবসে ডিএসইএক্স সূচক ৯ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৫৫৪ পয়েন্টে। মোট লেনদেন হয় ৪৯৬ কোটি ১২ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা ইতিবাচক আছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, গেল কয়েক দিন ধরে সূচক কমতে দেখা যাচ্ছে। এটাকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা হিসেবে বলা যায়। সূচক কমলেও ইতিবাচক দিক হচ্ছে নতুন কিছু ফান্ড আসছে। আসলে পুঁজিবাজারে সূচকের চেয়ে লেনদেনের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়। কয়েক দিন ধরে লেনদেন ৫০০ কোটির কাছাকাছি বা ৫০০ কোটির বেশি হচ্ছে, যা খুবই ইতিবাচক। তবে কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজারে কিছু তারল্য ঘাটতির চাপ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।