স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের কফিন মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার প্রতিবাদে ও খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে শাহবাগ থেকে এই কফিন মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও দোয়েল চত্বর হয়ে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হয়।পরে হাইকোর্ট হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পার হওয়ার পর সচিবালয়ের পশ্চিম ফটকে এসে ওই কফিন মিছিলটি পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়ে।সচিবালয়ের পশ্চিম গেইটে পুলিশ ব্যারিকেড দেওয়ায় ছয়টি প্রতীকী কফিন নিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। এদিকে এ কর্মসূচি ঘিরে সচিবালয় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. শহীদ জানান, সচিবালয় এলাকায় মিছিল মিটিং করার নিয়ম নেই। এ কারণে গণজাগরণ মঞ্চের কফিন মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে।‘কফিন মিছিল’ কর্মসূচিতে ইমরান এইচ সরকার বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইব, কেন তারা আমাদের সহযোদ্ধাদের একের পর এক লাশ হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে? কেন তারা অপরাধীদের গ্রেফতার করছে না? কেন তারা নির্লিপ্ত থাকছে? কেন তারা এ বিষয়গুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে বারবার চালিয়ে দিচ্ছে?এর আগে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়। হরতাল শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বেলা ১১টায় শাহবাগ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে কফিন নিয়ে যাত্রা ও মিছিল হয়। শুক্রবার বিকাল তিনটায় শাহবাগে মুক্তচিন্তার সমাবেশ হবে।মঙ্গলবার সকাল ছয়টার আগেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় মঞ্চের নেতাকর্মীরা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে হরতালে একাÍতা ঘোষণা করে। মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে সারা দেশের হরতাল কর্মসূচি সমন্বয় করেন।হরতাল পালনকারীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান নেয়ায় সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাহবাগে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন হরতালের আওতামুক্ত ছিল। হরতাল চলাকালে দুটি বাস ভাংচুর করা হয় বলে জানা গেছে। হরতালে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ও উদীচীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠন মিছিলসহ শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় হরতালের সমর্থনে নানা স্লোগান দেয়া হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।গত ৩১ অক্টোবর শাহবাগে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিনে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কর্ণধার আহমেদ রশিদ টুটুল, কবি তারেক রহিম ও লেখক রণদীপম বসুকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে আহত করা হয়
পুলিশের বাধার মুখে গণজাগরণের ‘কফিন মিছিল’
Share!