বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে আগ্রাসী যমুনা নদী শাহজাদপুর উপজেলার কৈজরী ইউনিয়নের হাটপাঁচিল ও গালা ইউনিয়নের গালা গ্রামে আবারও ভাঙ্গন শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি ও পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ভয়াবহ ভাঙ্গনের ফলে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা না থাকায় পাঁচিল, ভেকা, গালা, ভেড়াকোলা, ভাটপাড়া, জগতলা, গ্রাম এখন হুমকির মুখে।একদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত অপরদিকে ভয়াবহ ভাঙ্গন সব কিছু মিলিয়ে এই হাটপাঁচিল পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদী ভয়াবহ ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৈজুরী ইউনিয়নের হাট পাঁচিল গ্রাম, গালা ইউনিয়নের গালা,জালালপুর ইউনিয়নের ভেকা গ্রাম এখন ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে। যে কোন সময় ভাঙ্গন হতে পারে। যমুনা নদী শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রাম গত কয়েক বছরে গ্রাস করেছে। কখনও রাক্ষুসী,কখনও শান্ত স্নিগ্ধ যমুনা গৃহহারা করেছে শাহজাদপুরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে। নদী ভাঙ্গনে কখনও সিসি ব্লক,কখনও বালুর বস্তা দিয়ে প্রতিরোধ করা চেষ্টা করা হলেও তা যেন সমীহ করছেনা যমুনা। তাইতো প্রতিবছর বন্যার পানির সাথে ভাঙ্গা গড়ার খেলায় লিপ্ত রয়েছে এই যমুনা। যমুনা তীরের বাসিন্দারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। কখন যেন ভয়াবহ ভাঙ্গনের কবলে পড়ে যায়। আর তাই এলাকাবাসী প্রশাসন এবং সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে কৈজুরী ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁর ইউনিয়ন যমুনার তীরে হওয়ায় প্রতিবছর ভাঙ্গছে। জানানো হয়েছে। খুব দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে পুরো গ্রামটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Share!