তেরেসা মে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন । এর মধ্য দিয়ে লৌহমানবীখ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে ব্রিটেনের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন তিনি। ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আনুষ্ঠানিকভাবে তেরেসা মেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। এর আগে বিকেলেই বাকিংহাম প্যালেসে গিয়ে রানির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডেভিড ক্যামেরন। বুধবার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার আগে ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে স্ত্রী ও সন্তানদেরকে সঙ্গে নিয়ে সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে ক্যামেরন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন ছিল তার জীবনের ‘সবচেয়ে বড় সম্মান’। এছাড়া তার ক্ষমতা গ্রহণের সময়ের চেয়ে যুক্তরাজ্য এখন অনেক ‘বেশি শক্তিশালী’ বলেও মন্তব্য করেন ক্যামেরন। গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় যাওয়ার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সে সময় ক্যামেরন জানিয়েছিলেন, অক্টোবরে মধ্যে দায়িত্ব ছাড়বেন তিনি। তবে নতুন নেতা নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন হওয়ায় ক্যামেরন বুধবারই বিদায় নেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালালেও অভিবাসী প্রশ্নে কঠোর ৫৯ বছর বয়সী তেরেসা। পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৭ সাল থেকে এমপি ও ছয় বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ব্রিটেনের তেরেসা মে
Share!