মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের বাগো এলাকায় বৌদ্ধ মৌলবাদীরা একটি ঐতিহাসিক মসজিদ ও মাদ্রাসা ভেঙে ফেলায় দাঙ্গার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়। গতকাল শনিবার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে থা ইয়েল থা মেইন গ্রামে এ আশঙ্কায় ডজন ডজন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙা নিয়ে দাঙ্গা বেধে যায়। এলাকাটি দেশটির বাণিজিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে।
ওই গ্রামে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হলেও মুসলিমরা ভরসা পাচ্ছেন না। মিয়ানমারের এর আগে বেশ কয়েকবার মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার পর কয়েক লাখ মুসলিম বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। নিকটবর্তী ওয়াও শহরতলীর পুলিশ প্রধান ওহন লউইন বার্তা সংস্থা আনাদলুকে শনিবার ফোনে জানান যে উগ্রবাদীদের হামলার আশঙ্কায় ২০জন মুসলিম পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মৌলবাদী বৌদ্ধরা গ্রামটির একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা এবং একটি মুসলিম গোরস্থান ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্রামটিতে ৫০টি মুসলিম পরিবারের বাস রয়েছে বলে জানান তিনি। ওহন লউইন আরো জানান, দুজন নারী বৌদ্ধ প্রতিবেশীর সাথে আবদুল শরীফ নামের এক মুসলিম বাসিন্দার বিতর্কের পর উগ্র বৌদ্ধরা তাকে মারধর করে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ২০১২ সালের জুন মাসে রাখাইন রাজ্যে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গায় অন্তত ২০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার মুসলিম উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দা এবং মসজিদ কমিটির সদস্য খিন ও (৭২) আনাদলুকে বলেন, পুলিশ এবার ভালো ভূমিকা রাখলেও গ্রামটির বেশিরভাগ মুসলিমই আতঙ্কে আছেন।
মসজিদ ও মাদ্রাসা ভেঙে ফেলায় দাঙ্গার আশঙ্কা
Share!