কোরআন শরীফ কেড়ে নিয়ে আগুণে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সোমবার এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে গ্রামবাসী। সোমবার দুপুরে সোহাগকে গণধোলাই দেয় গ্রামবাসী। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জুন)চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মো. আ. হান্নানের ছেলে সোহাগের বিরুদ্ধে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগ উঠে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আবু জাফর সোহাগ (৩৫) মায়ের সঙ্গে বিতর্কে জড়ানোর এক পর্যায়ে মায়ের হাত থেকে কোরআন শরীফ কেড়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ তোলেন। স্থানীয় মুদি দোকানদার জসীম উদ্দিন বলেন, সোমবার যোহরের নামাযের পর এলাকার সব মসজিদ থেকে সোহাগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলের পর সোহাগকে খুঁজে এনে গণধোলাই দিয়েছেন মুসল্লীরা। পিটুনি খাওয়া যুবকের চাচা ইউপি সদস্য মো. দুলাল হোসেন কুরআন পুড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ধরণের জঘন্য কাজে আমরা মর্মাহত। গ্রাম বাসীদের নিয়ে তার বিচার করা হবে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জমাদ্দার বাড়ীর শাহ আলম (৫০) ও সিরাজুল ইসলাম (৬০)। তাঁরা ঘটনার বিবরণে বলেন, সোহাগের মায়ের চিৎকারের পর আমরা এসে কুরআন শরীফের আগুন জ্বলতে দেখেছি। সোহাগ মা-বাবার অবাধ্য ছেলে। সব সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে।
কোরআন শরীফ কেড়ে নিয়ে আগুণে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ: গণপিটুনি গ্রামবাসীর
Share!