রোববার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার খাস পাইকাল গ্রামে এক পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দগ্ধ গৃহবধূর নাম সোমা আক্তার (২৪)। তার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিলে সারা শরীর ঝলসে যায়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে ঘটনার পর স্বামী রুহুল আমিনকে (৩০) এলাকাবাসী আটকের পর গণপিটুনী গিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, গত তিন বছর আগে সোমা আক্তারের সঙ্গে রুহুল আমিনের বিয়ে হয়। রুহুল আমিন এর আগেও পাঁচটি বিয়ে করেছিল। সোমা রোববার তার ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর ৫টার দিকে স্বামী তার ঘুমন্ত স্ত্রীর ওপর পেট্রল ঢেলে দেয়। এরপর দেয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে তার ওপর নিক্ষেপ করে। মুহুর্তের মধ্যে সোমার শরীর দগ্ধ হয়। এ সময় সোমা তার স্বামী রুহুল আমিনকে জাপটে ধরে বাঁচার আকুতি জানান। এতে রুহুল আমিনও দগ্ধ হন। পরে সোমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে মামলা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গর্ভবতী স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা এক পাষণ্ড স্বামীর বিরুদ্ধে
Share!