Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

মূল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ: ইকবাল বাহার

মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্তের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার দুপুরে  সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। পুলিশ কমিশনার জানান, ‘গ্রেপ্তারকৃত রবিন গত রোববার জিইসির মোড়ে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁর ফোনে কথা বলার বিষয়টি সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পর এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল রোববার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’  সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল বাহার বলেন, ‘সমূহ সম্ভাবনা আছে, আমরা খবরের ভিত্তিতেই ধরেছি। সে একজন মূল আসামি হতে পারে। এটি আরো এক-দুই দিন গেলে হয়তো ফুটেজগুলো দেখে আমরা মিলিয়ে নিশ্চিত হতে পারব যে সে মূল আসামি কি না। তবে এখন পর্যন্ত আমরা আশাবাদী যে সে মূল আসামি হওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি।’ রবিনের বাড়ি লাকসাম বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ইকবাল বাহার। এ ছাড়া শীতলঝর্না এলাকায় তাঁর অবস্থান সন্দেহজনক বলেও জানান তিনি। ইকবাল বাহার বলেন, ‘মূল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পরিষ্কার ভিডিও ফুটেজ না থাকায় এখনো কিছুটা অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। গ্রেপ্তার রবিন অষ্টম শ্রেণি পাস বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। তিনি বলেন, সে কোনো মতাদর্শে বিশ্বাসী হতে পারে অথবা ভাড়াটে খুনিও হতে পারে। কাল আদালতে সোপর্দ করার আগে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।’ গত রোববার সকাল সাতটায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা আক্তার মিতু। ঘটনার পর পুলিশ জানায়, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তারের সাহসী ভূমিকা ছিল। এ কারণে জঙ্গিরা তাঁর স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারে। হত্যার পর রাতে পাঁচলাইশ থানার এক এসআইকে দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে মামলার করার সিদ্ধান্ত হলেও গত সোমবার বাবুল আক্তার নিজে বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।এ ঘটনায় শিবিরের সাবেক এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা মাইক্রোবাসের চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top