সুস্বাস্থ্যের জন্য ঢেঁড়স অত্যন্ত পুষ্টিকর ওষুধি গুণসম্পন্ন সবজি । ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও ভিটামিন এ, বি, সি। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।জেনে নিন ঢেঁড়সের বিস্ময়কর উপকারী ও ওষুধিগুণ সম্পর্কে-
হাঁপানিতে খুব ভালো কাজ করে ঢেঁড়স। রোগটির হারবাল চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ঢেঁড়স বীজের তেল শ্বাসকষ্ট কমাতে পারে। ব্লাড সুগার কমাতে এর বিকল্প নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে ০.০৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন ও ০.০১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন রয়েছে। যা ডায়াবেটিস রোগীর স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবরাহ করে সতেজ রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটা রাখা উচিত। প্রসাবের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এতে প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি কমে আসে। এটি পানিতে সেদ্ধ করে তরল পিচ্ছিল পদার্থ ছেঁকে পান করলে প্রসাবের প্রবাহ বাড়বে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সহজে হজম হয় বলে বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে। নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে ব্রণ কম হয়। এটি ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতেও ভালো কাজ দেয়। এটি খাওয়ার ফলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, এতে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে। এটি হাড়কে মজবুত করে। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১.৫ মিলিগ্রাম আযরন। এটি চুল পড়া কমে। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে। ঢেঁড়সে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যান্সার রোগ সৃষ্টিকারী কোষগুলোকে ধ্বংস করে ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতা দূর হয় নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে লাল রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে সহজেই রক্তশূন্যতা দূর হয়।গর্ভাবস্থায় কাজ করে এ সময় নিয়মিত ঢেঁড়স খেলে এর ফলেট উপাদানটি শিশুদের সঠিকভাবে বিকাশে সাহায্য করে। সতর্কতা:অন্যান্য সবজির মতো এতেও সামান্য পরিমাণে অক্সালিক এসিড রয়েছে। তাই কিডনিতে পাথর হলে এ সবজিটি এড়িয়ে চলাই ভালো।
Share!