বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রণিধান মালা অনুযায়ী এতদিন এক সংসদ সদস্য তার সংসদীয় এলাকায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।আজ বুধবার এক রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন। তবে বর্তমান কমিটিতে থাকা সাংসদরা তাদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কমিটি থাকতে পারবেন। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আদালতের রায় হাতে পেলে কার্যকরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে সংসদ সদস্যের থাকা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রণিধানমালা ২০০৯-এর ৫ ও ৫০ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিলো। এর মধ্যে ৫ ধারা হচ্ছে এমপিদের সভাপতি পদ ও ৫০ ধারা হচ্ছে বিশেষ কমিটি গঠন নিয়ে। বুধবার আদালত দু’টি ধারা বাতিল করেছেন। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেছেন।’ এতে বর্তমান যারা ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আছেন তারা মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারবেন। এরপর কোনো সাংসদ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইশরাত জাহান বলেন, ‘এ রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্যই উচ্চ আদালতে যেতে হবে।’ এদিকে রায়ের পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় পেলেই আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হবে। আর রিটকারী আইনজীবীরা জানান, এ রায়ের ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্য বন্ধ হবে।
Share!