মেধাসম্পদ সংরক্ষণে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন-২০১৬’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিযেছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া পরমাণু শক্তি কমিশন আইন ২০১৬ এর খসড়ার অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতথ্য জানান। বর্তমানে কার্যকর শত বর্ষের পুরনো পেটেন্টস অ্যান্ড ডিজাইন অ্যাক্ট-১৯১১ কে ভাগ করে নতুনভাবে দুইটি আইন তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো পেটেন্ট আইন-২০১৬ এবং অন্যটি ডিজাইন আইন-২০১৬। পেটেন্ট আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হলেও ডিজাইন আইন এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। পেটেন্ট আইনে মেধাসম্পদ সংরক্ষণের পাশাপাশি বাণিজ্যিকীকরণের নির্দেশনাও রয়েছে। খসড়া আইনে সাতটি অধ্যায় ও ৩৯টি ধারা রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে দুইটি ধারায় সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, পরিধি ও প্রবর্তন এবং সংজ্ঞা, দ্বিতীয় অধ্যায়ে তিনটি ধারায় পেটেন্টযোগ্য উদ্ভাবন ও সুরক্ষা, তৃতীয় অধ্যায়ে ছয়টি ধারায় পেটেন্ট আবেদনপত্র দাখিল ও মঞ্জুর সংক্রান্ত বিষয়াদি, চতুর্থ অধ্যায়ে সাতটি ধারায় পেটেন্ট অধিকার, পেটেন্টের মেয়াদ, পেটেন্টের মালিকানা ও হস্তান্তর, পঞ্চম অধ্যায়ে তিনটি ধারায় পেটেন্ট সংশ্লিষ্ট অপরাধ, দণ্ড, আদালত ও আপিল, ষষ্ঠ অধ্যায়ে তিনটি ধারায় রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ও ক্ষমতা সম্পর্কিত এবং সপ্তম অধ্যায়ে ১৬টি ধারায় সাধারণ বিষয়ে বিধিবিধানের বর্ণনা করা হয়েছে। আইনটি অনুমোদনের বিষয়ে সরকার মনে করছে, এ আইনটি হলে নতুন উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে এটা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
মেধাসম্পদ সংরক্ষণে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন-২০১৬’ অনুমোদন
Share!