নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনায় লজ্জিত হলেও বিষয়টির জন্য ‘ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না’ বলে মন্তব্য করেছেন সাংসদ সেলিম ওসমান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের তৃতীয় তলার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন সেলিম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ বলেন, ‘ধর্মকে নিয়ে কটাক্ষ করায় তাকে (শ্যামল কান্তি) এ শাস্তি দিয়েছি। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার লোক জড়ো হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। সে জনরোষ থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’ সেলিম ওসমান আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে বিচারে যদি আমাকে ফাঁসিও দেওয়া হয়, তা আমি মেনে নেব। আল্লাহকে নিয়ে যাঁরা কটূক্তি করেছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইব না।’ এ সময় সেলিম ওসমান জানান, যত দিন এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি না হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি যত দিন প্রতিবেদন দাখিল না করবে, তত দিন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স, বিকেএমইএ ও সংসদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন তিনি। এদিকে, আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শ্যামল কান্তিকে স্বপদে বহালের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি স্কুল কমিটি বাতিলের ঘোষণা করেন। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী উল্লিখিত ঘোষণা দেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। তিনি জানান, শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। এতে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন বলে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এর ভিত্তিতে কমিটি তাঁকে স্বপদে বহালের সুপারিশ করেছে। তদন্ত কমিটি স্কুলের আগের কমিটি বাতিলের সুপারিশ করে।
ক্ষমার প্রশ্নই আসে না : সেলিম ওসমান
Share!