উত্তেজনা অনুভবের জন্য বাজারের বেশ কিছু পানীয় বা সিরাপের মধ্যে ব্যাপকভাবে মেশানো হচ্ছে ভায়াগ্রা, যা যৌন সমস্যার ওষুধ হিসেবে অত্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসম্পন্ন। পানীয়তে ভায়াগ্রা মেশানোর এই তথ্য উঠে এসেছে দুটি পৃথক ল্যাব পরীক্ষায়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব পানীয় বা সিরাপ খেয়ে তাৎক্ষণিক মৃত্যুসহ দীর্ঘ মেয়াদে জটিল সব অসুখ হতে পারে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যা হলেই জমজমাট হয়ে ওঠে কারওয়ান বাজারের কিছু ভাসমান ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান। এগুলোতে যে কয়েকজন পাওয়া যায়, তাদের প্রায় সবাই নিয়মিত ক্রেতা। তাঁদের সবাই জোর দিয়ে বলেন, দোকানগুলোর শক্তিবর্ধক পানীয় কিংবা সিরাপে যথেষ্ট কাজ হয়।এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘ভায়াগ্রার উপাদান হচ্ছে সিলডানাফিল সাইট্রেট। তো, এই সিলডানাফিল সাইট্রেট ওই বাসাটির মধ্যে ২৩টার ভেতর পেয়েছি। যাদের হার্টের রোগী বা কিডনির প্রবলেম (সমস্যা) আছে, ডায়াবেটিকস আছে, তাদের জন্য এটা জীবনের ঝুঁকি। তারা মারাও যেতে পারে।’বয়স্ক মানুষের কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল। কিন্তু অল্প বয়স্ক তরুণ, যাদের প্রাকৃতিকভাবেই যৌন উত্তেজনা অনেক বেশি, তারা যদি এসব ভায়াগ্রামিশ্রিত পানীয় পান করে, তবে তাদের যে কেবল শারীরিক ক্ষতি হবে তা নয়, সে সঙ্গে দেখা দিতে পারে মানসিক বিকৃতি।এত সহজে কীভাবে ভায়াগ্রার উপাদান অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে যাচ্ছে, তা খতিয়ে দেখার ওপরও জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, শক্তিবর্ধক পানীয় কিংবা এনার্জি ড্রিংকসের নামে মানুষকে ভায়াগ্রার মতো একটি স্পর্শকাতর ওষুধ খাওয়ানো যে কেবল প্রতারণা, তা নয়। বরং এটা প্রমাণ করে যে, সমাজের কিছু মানুষের মানসিকতা কতটা বিকৃত হতে পারে। অবস্থা যখন এতটাই শোচনীয়, তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে যদি সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে বলতেই হয়, সাধারণ মানুষ আসলেই অসহায়।
যৌন উত্তেজনা অনুভবের জন্য ভায়াগ্রা অত্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসম্পন্ন
Share!