দেশে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট সংখ্যক নার্স নেই। একজন নার্সকে সেবা দিতে হয় হাসপাতালের ওয়ার্ডের ৪০ থেকে ৫০ জন রোগীকে। এতে আশানুরূপ সেবা না পেয়ে রোগীরাও আস্থা হারিয়ে ফেলছেন নার্সদের উপর। ফলে সম্মান হারাচ্ছে নার্সিং পেশা।দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে নার্সের চরম সংকট রয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী ১ জন চিকিত্সকের বিপরীতে ৩ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। বর্তমানে দেশে ৬৬ হাজারের কিছু বেশি রেজিস্ট্রার্ড চিকিত্সক রয়েছেন। প্রটোকল অনুযায়ী সেখানে দুই লাখের বেশি নার্স থাকার কথা। কিন্তু দেশে রেজিস্ট্রার্ড নার্সের সংখ্যা মাত্র ৪১ হাজার। তারমধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি নার্স বেকার।এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে—‘স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ব্যবস্থা যুুগোপযোগী করার জন্য নার্স উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার।’ জাতিসংঘ ২০০০ সালে গৃহীত মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জনের জন্য ২০১৫ সালকে শেষ বছর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বর ২০১৪ সালে জাতিসংঘ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।বাংলাদেশ বেসিক নার্সিং কলেজ এসোসিয়েশন (বিবিএনসিটিএ) এর মহাসচিব গুলশান আরা বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ১০ হাজারসহ বর্তমানে শুধু সরকারি পর্যায়ে নার্সদের শূন্য পদের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭২৮টি। কিছুদিন আগে ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ১৮ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও কয়েক বছর কেটে গেছে, কিন্তু নার্স নিয়োগ আর হচ্ছে না।
Share!