সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভরদুপুরে ঘের কর্মচারী আবদুল মান্নানকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ও গ্রামবাসী মিলে কৌশলে ঘাতক শাহজাহান আলী সাজুকে রক্তমাখা ধারালো দাসহ আটক করেছে। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ পাঁচজন।পুলিশের বরাতে জানা গেছে, নিহত ঘের কর্মচারী আবদুল মান্নান যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দত্তকোনা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি বসন্তপুর গ্রামে আবদুল খালেকের ঘেরের পাশের বাগানে বসে গাছের তাল কেটে তাঁর ছেলেকে নিয়ে খাচ্ছিলেন।কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মো. মাসুদ করিম এনটিভি অনলাইনকে জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে মাছের ঘেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ঘের কর্মচারী আবদুল মান্নানের কাছ থেকে তাল কাটার ধারালো দা নিয়ে তাকেই কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ঘাতকের দায়ের কোপে নিহত মান্নানের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি আবু সালেহ আরো বলেন, ঘটনার সময় আবদুল মান্নান ধারালো দা দিয়ে তাল কেটে খাচ্ছিলেন। আকস্মিকভাবে বসন্তপুর গ্রামের শেহের আলীর ছেলে শাজাহান আলী সাজু মান্নানের কাছে যায় এবং ধারালো দা হাতে নিয়ে কোনো কিছু বুঝে উঠবার আগেই সে মান্নানকে কুপিয়ে ও জবাই করে চলে যায়।এরপর রক্তমাখা দা হাতে নিয়ে ঘাতক সাজু গ্রামে ঢুকে পড়লে গ্রামবাসী তাকে ধাওয়া করে। কিন্তু মারমুখী হওয়ায় কেউই তার কাছে আসতে সাহস করেনি। পরে পুলিশ এসে তাঁকে কৌশলে আটক করে। এসময় ঘাতক পুলিশের ওপরও চড়াও হয়ে পুলিশকে কোপাতে থাকে। এ সময় তার দায়ের কোপে কলারোয়া সরসকাঠি পুলিশ ক্যাম্পের প্রধান উপপরিদর্শক (এসআই) তানভির হোসেন এবং দুই কনস্টেবল কমলেশ সানা ও অহিদুজ্জামানসহ দুই গ্রামবাসী আহত হন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন আবু সালেহ।ওসি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে ঘাতক একজন মাদকাসক্ত যুবক। সে খুলনা পলিটেকনিক কলেজে ছাত্র থাকাকালে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর সে বাড়িতে ফিরে নানা ধরনের অসামাজিক কাজ করত।ঘাতক সাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি। এ ছাড়া নিহত আবদুল মান্নানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ভরদুপুরে জবাই করে হত্যা
Share!