Monday , 23 December 2024
সংবাদ শিরোনাম

সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা রক্ষায় নির্মানধীন বাঁধের অংশ ধ্বস নেমেছে

কাল বৈশাখী ঝড়ের কারণে নদীর প্রচণ্ড ঢেউয়ের আঘাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা রক্ষায় নির্মানধীন পাঁচ কিলোমিটার ব্যাপী বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে ধ্বস নেমেছে। রবিবার সন্ধ্যায় এ ধ্স নামে। ধসের কারণে দুই কিলোমিটার অংশের বালিভর্তি ৫-৬ মিটার জিও টেক্স সম্পূর্ন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে স্থায়ী ভাঙনরোধে যমুনা নদীর তলদেশে রিভেটমেন্ট পদ্ধতিতে নির্মানাধীন বাঁধটি সামান্য ঢেউয়ের আঘাতে ধ্স নামায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল বারী জানান, রোববার রাতে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির সাথে ঢেউয়ের আঘাতে নির্মাণাধীন ওই বাঁধটিতে ধ্স নামে। এতে চৌহালীর উত্তর সীমান্তে তেকিরমোড় থেকে দক্ষিণ দিকে খাস কাউলিয়া গার্লস হাই স্কুল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকার জিওব্যাগ নদীগর্ভে চলে যায়। এছাড়াও বাঁধের উত্তরদিকে নাগরপুরের প্রায় সোয়া কিলোমিটার এলাকায় জিওব্যাগ নদীগর্ভে বিলীন হয়। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান জানান, সকালে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সকাল থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী ৬-৭ দিনের মধ্যে বিলীন হওয়া অংশটুকু রিকভারী করা সম্ভব বলেও এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রায় ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি গ্রুপে চৌহালী শহর রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৩১ কোটি টাকার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ সাপ্লাইয়ের জন্য (বিজে) এবং স্থায়ী ভাঙনরোধে ৭৬ কোটি টাকার ২টি গ্রুপে আই-জে (জেভি) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। প্রথম পর্যায়ে চৌহালীর খাসকাউলিয়া থেকে আতাপাড়া পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় এরিয়া কভারেজ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে স্থায়ী ভাঙনরোধে যমুনা নদীর তলদেশে রিভেটমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ চলমান রয়েছে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top