মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০টি ওষুধ কোম্পানির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সাথে আরো ৬৪টি ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে আরোপ করা হবে বিধি নিষেধ।আর এ ধরণের কঠোর পদক্ষেপ বহির্বিশ্বে দেশের ওষুধ শিল্পের প্রতি আস্থা বাড়াবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। সেই সাথে কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স প্রদানে আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ তাদের।
বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চালানো অভিযানে নকল ও ভেজাল ওষুধ তৈরির কারখানা যেমন পাওয়া গেছে, তেমনি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে এমন কারখানার সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।এছাড়া ১৯৯২ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল খেয়ে ৭৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এখানে।এমন সব ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন সময় ওষুধ কোম্পানিগুলোর মান যাচাইয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন। আর সবশেষ কমিটি বিদ্যমান ওষুধ কোম্পানিগুলো কয়েক দফা পরিদর্শন করে।কিন্তু এর মধ্যে ৮৪টি কোম্পানি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী ওষুধ উৎপাদন করতে পারছে না বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর মধ্যে ২০ কোম্পানির অবস্থা শোচনীয়।স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ‘যে ২০টি কোম্পানি ঔষধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিলের জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’এসব কারখানার পরিদর্শনে অনেকগুলোতে উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না বলে জানান কমিটির প্রধান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।সরকারের এ উদ্যোগ বিদেশে বাংলাদেশের ওষুধের মান সম্পর্কে আস্থা বাড়বে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।বর্তমানে বিশ্বের ১২৩টি দেশে বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
২০ওষুধ কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল, ৬৪ ওষুধ কোম্পানির বিরুদ্ধে বিধি নিষেধ
Share!