দিনাজপুরে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্য ওয়্যারলেস অপারেটর গোলাম মোস্তফার সঙ্গে নির্যাতিত কিশোরী তামান্না আকতারের (১৬) বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে কোতয়ালী থানায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় পুলিশ ও তামান্নার পরিবারের লোকজন থানায় উপস্থিত ছিলেন।জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে মোস্তফা কামাল বিভিন্ন সময়ে প্রেম প্রস্তাব করে বিরক্ত করতো তামান্নাকে। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মোস্তফা ইয়াবা দিয়ে হাজতে নেয়ার হুমকি দেয় কিশোরীকে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে শহরের ফকিরপাড়া এলাকার একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। তামান্না বিয়ে করতে অসম্মতি জানালে মোস্তফা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে।এ ব্যাপারে কিশোরীর পিতা জাহিদুল ইসলাম অভিযুক্ত ওয়্যারলেস অপারেটর মোস্তফার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ মোস্তফার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে নির্যাতিতার পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সমঝোতা চেষ্টা করছে।তামান্নার পিতা জহিদুল ইসলাম ও খালু মো. আউয়াল অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর থেকেই মামলা না নিয়ে থানার ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা মোস্তফার সঙ্গেই বিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়ে সমঝোতার করতে চাপ দেয়।বিয়েতে উপস্থিত থাকা একরামুল হক চঞ্চল জানায়, বিয়েতে মেয়ের পিতা মাতাসহ অনেক আত্মীয় উপস্থিত থেকে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর নব দম্পতিদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে উপস্থিত সকলের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
কোতয়ালী থানার ওসি খালেকুজ্জামান পিপিএম জানায় কাজী ডেকে এনে থানাতেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার ওসি খালেকুজ্জামান পিপিএম জানায় কাজী ডেকে এনে থানাতেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
Share!