ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভারতের নাগরিক। সেখানকার ভোটার তালিকায় তাদের নামও রয়েছে। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ভারতের নাগরিক হতে পারেন না। ভোটারও হতে পারেন না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এবং ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকরা কেবল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপের দেশগুলো এবং এশিয়ার হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাগরিকত্ব নিতে পারবেন।প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর ক্ষেত্রেই কেবল দ্বৈত নাগরিক সুবিধা কার্যকর হবে। এর বাইরে আর কোনো দেশের ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশি নাগরিকদের। তাই সুবল সাহার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রশ্নবিদ্ধ। বুধবার এক প্রতিবেদনে দৈনিক সমকাল জানায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তার ওয়েব পোর্টালে ভোটার তালিকায় সুবল চন্দ্র সাহার ভোটার নম্বর বিডব্লিউসি ৪০০৩৫৭০, ঠিকানা-দমদম, আরএন গুহ রোড, নরসিংহ অ্যাভিনিউ, ফ্ল্যাট ৭৩এ।সুবল সাহা একসময় জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ফরিদপুর শহরের একটি বাড়ি বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি এলাকায় সমালোচিত হন।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, কেউ হীন স্বার্থে ভারতের ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পরও একটি জেলা কমিটির সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে সুবল চন্দ্র সাহা কীভাবে দায়িত্ব পেলেন_ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সমকালকে বলেন, তিনি সত্যি সত্যিই ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি-না তা যাচাই করে দেখতে হবে। এর আগে কিছু বলা সমীচীন হবে না
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা ভারতের নাগরিক
Share!