ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।আজ রোববার সকাল ৭টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহত বাকিদের স্থানীয় একাধিক ক্লিনিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে দুর্গাপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন মাজু মিয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। একই গ্রামের রোমান, সাদেক তাঁর বিরোধিতা করে আসছিলেন। এর জের ধরে আজ সকালে গ্রামের চারটি স্থানে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয়পক্ষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বসতঘর। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ৪৫টি টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর আবার সংঘর্ষ শুরু হয়।সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খান সাজু বলেন, ‘নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। জনগণের রায় মেনে নেওয়াই উত্তম। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন মাজু মিয়া একটি সন্ত্রাসী লোক। নিবার্চনে পরাজিত হলেই সে মানুষের ওপর অত্যাচার করে প্রতিশোধ নিতে সংঘর্ষের সৃষ্টি করে।’এ বিষয়ে যোগাযোগ করতে মোয়াজ্জেম হোসেন মাজু মিয়ার মুঠোফোনে কল করা হয়। তবে কলটি রিসিভ হয়নি।জানতে চাইলে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সংঘর্ষস্থলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আশুগঞ্জে নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
Share!