যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে সাংবাদিক শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।গতকাল শুক্রবার নিজের ফেসবুকে পোস্ট করা বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় এ দাবি করেন।ওই পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জয় আরো বলেন, “বিএনপি এবং আমাদের ‘সুশীল সমাজ’-এর একটি অংশ শফিক রেহমানের সাফাই গাইতে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই, আমি এ বিষয়ে কিছু নিরেট বাস্তবতা তুলে ধরছি: যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, অভিযুক্ত এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক টেক্সট ম্যাসেজে লিখেছে যে রিজভী আহমেদ সিজার আমাকে ‘অফ’ করতে চায়। মেরে ফেলার অর্থে স্ল্যাং হিসেবে আমেরিকায় এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়। তাই, আহমেদ তার ষড়যন্ত্রের সহযোগীকে বলেছে, সে আমাকে হত্যা করতে চায়, আর সেটা সে গ্রেপ্তার হওয়ার অনেক আগেই।”ঘুষের বিনিময়ে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে এফবিআইয়ের গোপন নথি প্রকাশ করার দায়ে এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে কারাভোগ করছেন রবার্ট লাস্টিক। আর লাস্টিককে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে কারাগারে রয়েছেন রিজভী আহমদে সিজার।প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে জেরার দায়িত্বে থাকা এজেন্টদেরও সে একই কথা জানিয়েছে। ট্রায়ালের মাধ্যমে আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। সে অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে দোষী বলে নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যা গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা মামলা হেরে যাওয়া ও দীর্ঘ কারাবাস এড়াতে করে থাকে। হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার দীর্ঘ সময় জেল খাটার সম্ভাবনা থাকলেও সেই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সে কারাবাসের মেয়াদ কমিয়েছে।’জয় বলেন, ‘লাস্টিকের সঙ্গে শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। যদি তথ্য জোগাড় করার জন্য কোনো সাংবাদিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেয়, সেক্ষেত্রে সেটা অপরাধ। এটা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অপরাধ তাই যুক্তরাষ্ট্রেও শফিক রেহমানের বিচার হতে পারে।’প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সবশেষে জানাতে চাই, শফিক রেহমান মার্কিন নাগরিক না হয়েও ঘুষের মাধ্যমে এফবিআইয়ের গোপন নথি কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এটা গুপ্তচরবৃত্তি এবং এর শাস্তি কোনো দুর্ভেদ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলে আজীবন কারাবাস।’গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর ৮১ বছর বয়সী প্রবীণ এ সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। সর্বশেষ পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন তিনি।
এফবিআই এজেন্টের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল শফিক রেহমানের:ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয়
Share!